নেশা করা নিয়ে ঝামেলার পরই খুন, বন্ধুই কি খুনি
Published: 11th, April 2025 GMT
মার্ডার মিস্ট্রি নিয়ে সারা দুনিয়ায় প্রচুর সিনেমা হলেও ঢাকাই ছবিতে কেন যেন এই ঘরানা গরহাজির। সেদিক থেকে শরাফ আহমেদ জীবনের ঈদের সিনেমা ‘চক্কর ৩০২’-কে ব্যতিক্রমই বলতে হবে। কে এবং কেন—এ দুই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে এগিয়েছে সিনেমাটির কাহিনি। রহস্যের জালে চক্কর কাটতে কাটতে সমাধানে পৌঁছানো, এ নিয়ম মেনেই বোনা হয়েছে চিত্রনাট্য।
একনজরেসিনেমা: ‘চক্কর ৩০২’
ধরন: ক্রাইম থ্রিলার
চিত্রনাট্য: সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন ও নাহিদ হাসনাত
পরিচালনা: শরাফ আহমেদ জীবন
অভিনয়: মোশাররফ করিম, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাশ্বত দত্ত, রওনক হাসান, মৌসুমী নাগ, সুমন আনোয়ার, ইন্তেখাব দিনার ও ফারজানা বুশরা
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট
সদ্য কৈশোর পেরোনো তিন বন্ধু সাদমান, লিমা ও রায়ান গাড়িতে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। বলা ভালো, নেশা করছিল। এই নেশার জিনিস নিয়ে সাদমান ও রায়ানের মধ্যে ঝামেলা হয়। রাগ করে সাদমান বাসায় চলে যায়, একটু পরেই তাকে শিক্ষা দিতে হাজির হয় রায়ানও। কিন্তু বাসায় ঢুকেই রায়ান আবিষ্কার করে সাদমানের রক্তাক্ত মৃতদেহ!
এই রায়ান আবার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক হাসান চৌধুরীর ছেলে। ডিবি অফিসার মঈনুলের ওপর পরে তদন্তের ভার। দায়িত্ব নিয়েই রায়ানকে গ্রেপ্তার করে মঈনুল। কিন্তু রায়ান কি সত্যিই খুনি? নাকি এ খুনের পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য?
‘চক্কর ৩০২’ ছবির পোস্টারে মোশাররফ করিমসহ অন্য অভিনযশিল্পীরা। ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা থেকে বৈষম্যবিরোধী নেতাকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ, ওসির অপসারণ চেয়ে ঝাড়ুমিছিল
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসাশিক্ষার্থী শাহরিয়ার শিশিরের (২৪) ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে বিলম্ব, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ফয়সাল মোস্তাকের নামে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানানোর প্রতিবাদ এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জাহিদকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও ঝাড়ুমিছিল হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা শহরের চৌরাস্তা মোড়ে শতাধিক নারী–পুরুষ এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে ঝাড়ু হাতে মিছিল নিয়ে থানার প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আহত শাহরিয়ার শিশিরের বাবা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান, সেতাবগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নওশাদ আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেদওয়ানুল কারীম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিয়াদ চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বোচাগঞ্জের মাটিতে একের পর এক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওসি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেন না। শিশিরের ওপর হামলাকারীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ফয়সাল মোস্তাকের অনুসারী। তাঁর হুকুমেই শিশিরের ওপরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে হামলার ঘটনায় আহত শিশিরের বাবা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নাম এজাহার থেকে বাদ দিতে বাধ্য করেন। ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। বক্তারা এ সময় অবিলম্বে বোচাগঞ্জ থানার ওসি হাসান জাহিদের অপসারণ ও কিশোর গ্যাংয়ের সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
৯ জুন দুপুরে উপজেলার সুবিদহাট এলাকার সেতাবগঞ্জ চিনিকল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলতে গেলে শাহরিয়ার শিশির মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে শিশিরের বাবা বোচাগঞ্জ থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং সাত থেকে আটজনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র ফয়সাল মোস্তাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকায় নোংরা রাজনীতি শুরু হয়েছে। উপজেলায় কোথায় কী ঘটছে, তার দায়ভার এসে পড়ছে আমার ওপরে। এখন মনে হচ্ছে এই এলাকায় জন্মগ্রহণ করাটাই আমার পাপ হয়েছে। যাঁরা আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জানতে চাইলে বোচাগঞ্জ থানার ওসি হাসান জাহিদ বলেন, ৯ জুন শাহরিয়ার শিশির নামের এক ছেলেকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি সংশ্লিষ্ট আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এখানে নিজেদের মধ্যে দুটি পক্ষ হয়েছে। সংক্ষুব্ধ হয়ে একটি পক্ষ এ ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু কারও কথায় প্ররোচিত হয়ে নয়, আইন চলে তার নিজস্ব গতিতে।