মার্ডার মিস্ট্রি নিয়ে সারা দুনিয়ায় প্রচুর সিনেমা হলেও ঢাকাই ছবিতে কেন যেন এই ঘরানা গরহাজির। সেদিক থেকে শরাফ আহমেদ জীবনের ঈদের সিনেমা ‘চক্কর ৩০২’-কে ব্যতিক্রমই বলতে হবে। কে এবং কেন—এ দুই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে এগিয়েছে সিনেমাটির কাহিনি। রহস্যের জালে চক্কর কাটতে কাটতে সমাধানে পৌঁছানো, এ নিয়ম মেনেই বোনা হয়েছে চিত্রনাট্য।

একনজরে
সিনেমা: ‘চক্কর ৩০২’
ধরন: ক্রাইম থ্রিলার
চিত্রনাট্য: সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন ও নাহিদ হাসনাত
পরিচালনা: শরাফ আহমেদ জীবন
অভিনয়: মোশাররফ করিম, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাশ্বত দত্ত, রওনক হাসান, মৌসুমী নাগ, সুমন আনোয়ার, ইন্তেখাব দিনার ও ফারজানা বুশরা
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট

সদ্য কৈশোর পেরোনো তিন বন্ধু সাদমান, লিমা ও রায়ান গাড়িতে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। বলা ভালো, নেশা করছিল। এই নেশার জিনিস নিয়ে সাদমান ও রায়ানের মধ্যে ঝামেলা হয়। রাগ করে সাদমান বাসায় চলে যায়, একটু পরেই তাকে শিক্ষা দিতে হাজির হয় রায়ানও। কিন্তু বাসায় ঢুকেই রায়ান আবিষ্কার করে সাদমানের রক্তাক্ত মৃতদেহ!

এই রায়ান আবার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক হাসান চৌধুরীর ছেলে। ডিবি অফিসার মঈনুলের ওপর পরে তদন্তের ভার। দায়িত্ব নিয়েই রায়ানকে গ্রেপ্তার করে মঈনুল। কিন্তু রায়ান কি সত্যিই খুনি? নাকি এ খুনের পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য?

‘চক্কর ৩০২’ ছবির পোস্টারে মোশাররফ করিমসহ অন্য অভিনযশিল্পীরা। ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ