আরব আমিরাতে পাঁচ বছরের ভিসা পাবেন পাকিস্তানিরা
Published: 11th, April 2025 GMT
পাকিস্তানিরা এখন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণের জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা পাবেন। মঙ্গলবার পাকিস্তানে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত হামাদ ওবায়েদ ইব্রাহিম সালেম আল জাবি এই ঘোষণা দেন।
গভর্নর হাউসে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত হামাদ ওবায়েদ ইব্রাহিম সালেম আল জাবি এবং সিন্ধুর গভর্নর কামরান খান তেসোরির মধ্যে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাবি বলেন, ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। পাকিস্তানিরা এখন থেকে পাঁচ বছরের ভিসা পেতে পারেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি অপরাধ এবং ভিক্ষাবৃত্তির মতো বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সেদেশে ভ্রমণরত পাকিস্তানিদের উপর নজরদারি বাড়িয়েছে। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর একটি সিনেট প্যানেলকে জানানো হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ করা সকল পাকিস্তানির পুলিশি যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। এ বিষয়ে ট্রাভেল এজেন্টদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বিদেশি পাকিস্তানি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত সিনেটের স্থায়ী কমিটিকে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণকারী পাকিস্তানিদের জন্য ‘ওয়ার্ক ভিসার ওপর কোনও বিধিনিষেধ নেই’। আরও জানানো হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা ‘অনানুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ’ করা হয়েছে। কেননা, আমিরাত সরকারের আপত্তি ছিল যে, ভিজিট ভিসায় গিয়ে পাকিস্তানিরা সেদেশে ভিক্ষাবৃত্তি করে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব