ইউরোপা লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পর টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচ অ্যাঞ্জ পোস্টেকগলু দলের ভাগ্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। গ্রীক বংশোদ্ভূত এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ বলেছেন, এই মৌসুমে ফুটবল ইশ্বর যেন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই হুগো একিতিকে ফ্রাঙ্কফুর্টকে এগিয়ে দেন। ঠিক তাঁর ২০ মিনিট পর রাইট ব্যাক পেদ্রো পোরোর দারুণ গোলে সমতায় ফেরে স্পার্স। তবে ম্যাচে প্রচুর সুযোগ নষ্ট করে বসে স্বাগতিকরা। যার ফলে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে জার্মানিতে দ্বিতীয় লেগে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে লন্ডনের ক্লাবটি।

ম্যাচের ৫৫ মিনিটে মিডফিল্ডার লুকাস বার্গভাল গোলমুখে শট মারেন, এরপর রদ্রিগো বেন্টাকুরের হেড লাগে ক্রসবারে। ফ্রাঙ্কফুর্ট গোলকিপার কাওয়া সান্তোস দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ঠেকাতে থাকেন সব শট। বিশেষ করে অতিরিক্ত সময়ে মিকি ভ্যান দ্য ভেনের হেড ঠেকিয়ে স্পার্সকে জয়বঞ্চিত করেন।

আরো পড়ুন:

গোলখরা কাটাতে মনোবিদের শরণাপন্ন রিচার্লিসন

টটেনহ্যামে হোঁচট খেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পোস্টেকগলু বলেন, “আমি এখন বুঝে গেছি যে, ফুটবল ইশ্বর এই মৌসুমে অন্য দল নিয়ে ব্যস্ত! আমাদের দিকে তাকানোর সময় পাচ্ছে না। তাই আমাদের যা কিছু করতে হবে, সেটা নিজেদের চেষ্টাতেই করতে হবে, কোনো ঐশ্বরিক সহায়তা দিয়ে নয়।”

এই অস্ট্রেলিয়ান কোচের স্পার্সের দ্বিতীয় মৌসুমটা ভীষণ হতাশাজনক। একের পর এক ইনজুরিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছিটকে গেছেন, সঙ্গে ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্স মিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে ক্লাবটি নেমে গেছে ১৪তম স্থানে, যেখানে তারা অর্ধেকেরও বেশি ম্যাচ হেরে বসেছে। ইউরোপা লিগ এখন স্পার্সের একমাত্র সুযোগ কিছু জেতার, একই সাথে ১৭ বছরের ট্রফি খরা কাটানোর।

বৃহস্পতিবার স্পার্স কাঙ্ক্ষিত জয় না পেলেও, পোস্টেকগলু দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং কিছু খেলোয়াড়ের বিশেষ প্রশংসা করেছেন, “পুরো দলটাই ভালো খেলেছে। আমি মনে করি রদ্রি (বেন্টানকুর) অসাধারণ ছিল। দুই ফুলব্যাক রক্ষণে এবং আক্রমণে দারুণ অবদান রেখেছে। কুতি (ক্রিস্টিয়ান রোমেরো) আর মিকি (ভ্যান দ্য ভেন) প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভালোভাবে সামলেছে, শুধু যে গোলটা খেয়েছি, সেটা ছাড়া সবই ভালো ছিল।”

স্পার্স তাদের পরবর্তী প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে রোববার (১৩ এপ্রিল) উলভারহ্যাম্পটনের মুখোমুখি হবে। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তারা দ্বিতীয় লেগ খেলতে জার্মানিতে ফ্রাঙ্কফুর্ট সফরে যাবে।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে

এক দিনেই কত কীর্তি গড়লেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর তাঁকে ছেড়ে একা আর সংবাদ সম্মেলনে আসতে চাইলেন না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।

মিরাজ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর ফটোগ্রাফারদের আবদার মেটাতে ব্যস্ত বলে কিছুটা অপেক্ষাও করলেন। এরপর মিরাজের তাড়া ছিল নামাজে যাওয়ারও, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শেষে তাই একরকম দৌড়ে যান ড্রেসিংরুমে।

এর আগে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেছেন ছয়জনকে। মিরাজ দিনের শুরুটা করেছিলেন ব্যাটিংয়ে, শেষটা করেছেন বোলিংয়ে। ব্যাটিং, বোলিং মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে একটার পর একটা রেকর্ড গড়েছেন মিরাজ।

ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করেছেন, সেঞ্চুরির পথে দুই হাজার রানের মাইলফলক ছুয়েছেন; দুই শ উইকেট আর দুই হাজার রানের কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন সাকিবের পাশে, যদিও ম্যাচ একটি কমও খেলেছেন।

আবার বল হাতে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। একই ম্যাচে সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ উইকেটের কীর্তিতে সাকিব আর সোহাগ গাজীর সঙ্গে এখন তাঁর নামও। এত সব কীর্তি গড়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ বললেন, ‘শুরুতে আমি দুইটা মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’ ওই দুটি ধন্যবাদই ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য।

বিসিবির কোচ মিজানুর রহমানকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ‘অনেক দিন ধরে কাজ করা’ ব্যাটিংয়ে উন্নতিতে অবদানের জন্য। মিরাজের পরের কৃতজ্ঞতাটা শুনুন তাঁর মুখেই, ‘আমাদের দলের যে ম্যানেজার আছেন, নাফিস ইকবাল ভাই আমাকে সব সময় বুস্টআপ করে। আজকেও যখন ব্যাটিংয়ে যাচ্ছিলাম, বারবার একটা কথা বলছিল, মিরাজ, তুই কিন্তু প্রপার ব্যাটসম্যান, তোর কিন্তু এক শ আছে। দুইটা মানুষকে (মিজান ও নাফিস) অবশ্যই মনের ভেতর থেকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

কিন্তু মিরাজের সব কীর্তি তো আর ব্যাটিংয়ে নয়। বোলিংয়েও ৫ উইকেট পেয়েছেন। সিলেটে আগের ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলেন ১০টি। এ কৃতজ্ঞতাও একজনের জন্য রাখলেন মিরাজ, ‘বোলিংটা খুব ভালো হয়েছে। বোলিং তো আমার দলের সঙ্গেই আছে, আমার গুরু যে সোহেল ইসলাম (জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ)। অবশ্যই এই তিনটা মানুষকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

ধন্যবাদ দেওয়ার সংখ্যাটা তিনে গিয়েই থামেনি মিরাজের। আজকে যে তিনি সেঞ্চুরিটা পেলেন, তাতে তো অবদান আছে তাঁর সঙ্গীদেরও। তাইজুল ইসলাম ৪৫ বলে ২০, তানজিম হাসান ৮০ বলে ৪১ আর রান না করতে পারলেও হাসান মাহমুদ ১৬ বল খেলেছেন বলেই না সেঞ্চুরি করার সময়টা পেলেন মিরাজ।

একসময় সেঞ্চুরিটাকে ‘কপালের ওপর’ ছেড়ে দেওয়া মিরাজ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁদেরও, ‘হাসান অনেক ভালো সমর্থন দিয়েছে, তানজিমও অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে, তাইজুল ভাইও। আমি অবশ্যই এই তিনজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওরা যেভাবে আমাকে সমর্থন দিয়েছে, ওদের জন্যই আমি এক শ করতে পেরেছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
  • বার্সেলোনা ও পিএসজি ছাড়া যে কীর্তি গড়ার সুযোগ নেই এবার আর কারও