নন্দিত পপশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তাঁর কিছু গান এখনও শ্রোতাদের মুখে ফিরে। গানই তাঁর জীবন । গানই প্রাণ। অপারেশন টেবিলের ছুরি কাঁচির নিচে শুয়েও তাঁর প্রিয় গান ‘আগে যদি জানতাম/ তবে মন ফিরে চাইতাম/ এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না ও মন  রে/ কিসের তরে রয়ে গেলি তুই’– গানটি করেছিলেন এই কন্ঠশিল্পী।

এ প্রসঙ্গে কন্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ আজ দুপুরে সমকালকে বলেন, বলেন, সম্প্রতি আমার পায়ে ছোট একটা অপারেশন হয়েছিল। ওই অপারেশ টেবিলেই আমি গুন গুন করে আমার প্রিয় গান ‘আগে যতিদ জানতাম’ গাইছিলাম। তখন ডাক্তার সাহেবরা বললেন,‘ যদি গাইছেনই আরও একটু জোরে গান। আমাদেরও শোনান’। তখন তাদের অনুরোধেই একটি গান করেছিলাম। এ কারণে তাদের অপারেশনটা করতে তাদের সুবিধা হয়েছিল।’ 

ওই অপারেশন টেবিলে ছিলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল ও রিসার্চ ইনষ্টিটিউটের সার্জারি বিভাগের প্রধান সাকলয়েন রাসেল। তার ভাষ্যে, প্রিয় শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এর অপারেশন [গুরুতর নয়] করছিলাম। তাকিয়ে দেখি তাঁর হার্ট রেট বেশী। তাকে বললাম আপনার প্রিয় একটি গান শোনান। প্রান দিয়েই ‘আগে যদি জানতাম’ গাইলেন গানটি। মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়লো পুরো অপারেশন থিয়েটারে। মজার ব্যাপার হলো ওই গানটি গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার হার্টরেট স্বাভাবিক হয়ে এলো।’
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। 

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম  কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ