প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরি, ছয়টি পদে নেবে ৩৩ জন
Published: 12th, April 2025 GMT
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাজস্বখাতভুক্ত শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ছয়টি শূন্য পদে বিভিন্ন গ্রেডে ৩৩ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১৬ এপ্রিল থেকে আবেদন শুরু হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম ও বিবরণ—১.
পদের নাম: সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৩টি
গ্রেড: ১৩
বেতনস্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি
২.
পদের নাম: ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ১টি
গ্রেড: ১৪
বেতনস্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি
৩.
পদের নাম: লাইব্রেরি অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ১টি
গ্রেড: ১৫
বেতনস্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
৪.
পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৫টি
গ্রেড: ১৬
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
৫.
পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (হিসাবকোষের জন্য)
পদসংখ্যা: ১টি
গ্রেড: ১৬
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
৬.
পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ২২টি
গ্রেড: ১৬
বেতনস্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
আরও পড়ুনজীবন বীমা করপোরেশনে বড় নিয়োগ, নেবে ৫৪০ জন৩ ঘণ্টা আগেআবেদন ফি১–৫ নম্বর পদের জন্য আবেদন ফি ১১২ টাকা এবং ৬ নম্বর পদের জন্য আবেদন ফি ৫৬ টাকা।
আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও আবেদনের বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৫, বিকেল ৫টা
আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালায় থাকছে না নারী ও পোষ্য কোটা১১ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনপানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, পদ ২৭৭১১ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদ র ন ম সমম ন র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কম খরচে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: আসিফ নজরুল
দ্রুত সময়ের মধ্যে কম খরচে মামলা নিষ্পত্তি করে মানুষকে মামলার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, তিনটি লক্ষ্য নিয়ে আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের সংশোধন করা হচ্ছে। আগামী মাস থেকে এ সংশোধনের কাজ শুরু হবে। আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। গরীব মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (লিগ্যাল এইড ) কার্যালয়ে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন (সংশোধন) অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ-২০২৫ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার পক্ষ থেকে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া উপস্থাপন করা হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশে প্রতি বছর ৫ লাখ মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে লিগ্যাল এইডে ৩৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়। আগামীতে এই হার ২ লাখে নিয়ে যাওয়ার আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। এতে মামলার সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমবে। এজন্য আইন পরিবর্তন করতে হবে। ছোট ছোট যেমন আপোষযোগ্য পারিবারিক মামলা, চেক ডিজঅনারসহ অন্যান্য মামলা আপসে বাধ্যতামুলক করা হবে।
তিনি বলেন, আদালতে মামলার যে অস্বাভাবিক চাপ, তা শুধুমাত্র বিচারিক কাঠামোকে নয়, ন্যায় বিচারপ্রাপ্তির সম্ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। এ চাপ কমাতে হলে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি পদ্ধতি আরও গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন মামলার চাপ কমানো সময়ের দাবি। এ জন্য মামলার আগে আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামুলক করা গুরুত্বপুর্ণ।
দ্রুত সময়ে অল্প খরচে মামলার নিষ্পত্তি করতে সিভিল প্রসিডিউর কোড ইতিমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি সংস্কারের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এ সময় লিগ্যাল এইডের মামলা নিষ্পত্তিতে একজন বিচারকের জায়গায় ৩ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
মতবিনিময় সভায় অংশীজনদের মধ্যে বক্তব্যে দেন জাতীয় আইনগত প্রদান সংস্থার পরিচালক আজাদ সুবহানি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. খোরশেদ আলম, ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সায়েম খান প্রমুখ। এছাড়া চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা জেলার আইনজীবী সমিতি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ইউএনডিপি প্রতিনিধি, জিআইজেড প্রতিনিধি, আইএলও, ব্রাক, ব্লাস্ট ও প্রশিকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, লিগ্যাল এইডের প্রচারের ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি আছে। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ গরীব ও অসহায় মানুষ জানে না সরকারের এমন একটি আইনিসহায়তা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রচারের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বিভাগীয় শহরে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে বলে মত দেন তারা।