রাবি শিক্ষার্থীদের বিজু উৎসব উদযাপন
Published: 12th, April 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বিজু উৎসব পালন করেছেন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজশাহীর ফুলতলা ঘাট সংলগ্ন পদ্মানদীতে ফুল ভাসিয়ে তারা এ উৎসব পালন করেন।
এর আগে, সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে র্যালি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও কাজলা হয়ে রাজশাহীর ফুলতলা যান তারা। এ সময় তাদের সঙ্গে রাবি ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
৫ বিভাগে অনুষ্ঠিত হলো রাবির ভর্তি পরীক্ষা
রাবি ছাত্রীর ভিডিও ধারণ, বহিরাগত দুজনকে পুলিশে সোপর্দ
বিজু উৎসব বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ত্রিপুরা, ম্রো, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম প্রধান ও বর্ণিল উৎসব। এটি মূলত বর্ষবরণ উৎসব হিসেবে পালিত হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো মারমা, চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিজু উৎসব।
এটি বাংলা নববর্ষের (১৪ এপ্রিল) আগের তিন দিনব্যাপী (১২ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত) উদযাপিত হয়। এই তিনদিন তিনটি ভিন্ন নামে পরিচিত।
১২ এপ্রিল প্রথম দিন ফুল বিজু বলা হয়। এদিন খুব সকালে নদী, ঝরনা বা জলাশয়ে গিয়ে ফুল তোলা হয়। এই ফুল দিয়ে দেবতাকে পূজা দেওয়া হয় এবং বাড়ি সাজানো হয়। চারপাশে থাকে আনন্দ, পবিত্রতা ও প্রার্থনার আবহ। নদীতে গিয়ে ফুল ভাসানো হয় প্রাকৃতিক শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
১৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দিন মূল বিজু বলা হয়। এটা বিজু উৎসবের মূল দিন। এদিনে বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয়, নতুন কাপড় পরিধান করা হয়, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। বাড়িতে বাড়িতে রান্না হয় বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘পাচন’, যা ৫ থেকে ২১ বা তার বেশি ধরনের শাক-সবজি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, নাচ, হুল্লোড় হয় চারদিকে।
১৪ এপ্রিল তৃতীয় দিন গোজ্যা পোজ্যা বলা হয়। এদিন পুরাতন বছরের দুঃখ-কষ্ট ধুয়ে ফেলে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। এই দিনে তরুণরা বয়োজ্যেষ্ঠদের পা ধুয়ে দিয়ে সম্মান জানান। অনেকে নদীতে গিয়ে নিজেদেরও স্নান করে পরিশুদ্ধ হন। কিছু এলাকায় পানি খেলা বা জল উৎসবও হয়, যা মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবের সঙ্গে মিলে যায়।
উৎসব সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, “বিজু শুধু একটি উৎসব নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়ের প্রতীক। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীগুলোর সামাজিক বন্ধন, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ধর্মীয় সংস্কৃতির অনন্য বহিঃপ্রকাশ।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।