যশোরে মাদ্রাসাছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ঘটনায় এমজেএফের নিন্দা
Published: 13th, April 2025 GMT
যশোরের শার্শা উপজেলায় একটি কওমি মাদ্রাসার ছাত্রীদের কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। দ্রুত নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় এমজেএফ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি যশোরের শার্শা উপজেলার একটি মহিলা মাদ্রাসায় ছাত্রীদের হোস্টেলে নাইট ভিশন (রাতের অন্ধকারেও দেখা যায় এমন) ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। একজন অভিভাবক অভিযোগ দায়ের করে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করলে বিষয়টি সামনে আসে। এ ঘটনার মাধ্যমে শিশুদের মানবাধিকার হরণের মতো গর্হিত কাজ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, এমন ঘটনার মাধ্যমে শুধু গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়েছে তা–ই নয়, এটি শিশুদের নিরাপত্তা ও মর্যাদাহানি করার মতো গুরুতর অপরাধ। ছাত্রীদের থাকার ঘরে এমন যন্ত্রপাতি স্থাপন অত্যন্ত ভীতিকর ব্যাপার। এমজেএফ দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
এমজেএফ দেশের অন্যান্য মাদ্রাসা ও আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর পেছনে আরও অনেক লুকানো ঘটনা বা অনিয়ম থাকতে পারে, যা হয়তো এখনো প্রকাশ পায়নি। দেশের অন্যান্য মেয়ে ও ছেলেদের হোস্টেলেও এমন পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকতে পারে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসে সমন্বিত অথবা পৃথক তদন্ত পরিচালনার ব্যবস্থা করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এমজেএফ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ষণ, ভিডিওভিত্তিক যৌন সহিংসতা ও সাইবার অপরাধ–সম্পর্কিত সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সবাইকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব যখন নারী অধিকারের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ, তখন এমন নৃশংসতা সহ্য করা যায় না। এমজেএফ জোরালোভাবে সমাজের প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি ভয়ের সংস্কৃতি ও নীরবতা ভেঙে বেরিয়ে এসে, প্রতিটি মেয়ের নিরাপত্তা ও মর্যাদার পক্ষে জোরালো প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।
আরও পড়ুনযশোরে ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা, মনিটর শিক্ষকের কক্ষে, মাদ্রাসায় পুলিশের অভিযান১০ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি