হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটার এবং এর সংলগ্ন এলাকায় আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম।

রোববার সন্ধ্যায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য বৈশাখী মেলার সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। 

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার জন্য ও বাঙালি জাতির প্রাণের এই উৎসবকে রাজধানীবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ বছর নানাবিধ আয়োজন করেছে রাজউক। পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ব্রেইন থিওরি নামক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় রাজউক এর তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয়েছে ২ দিন ব্যাপী এই চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণ উৎসব। রাজউক চেয়ারম্যান জনাব রিয়াজুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এবং এই আয়োজনকে উৎসব মুখর করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

বর্ষবরণের এই উৎসব আয়োজনে হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটার এলাকায় থাকছে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও নানাবিধ জিনিসের বিভিন্ন স্টল, শিশু-কিশোরদের চিত্তবিনোদনের জন্য কিডস জোনসহ বিভিন্ন চিত্তাকর্ষক রাইড যার মধ্যে রয়েছে নাগরদোলা, মেরি গো রাউন্ড, লম্ফ জম্ফ ইত্যাদি। এছাড়াও থাকছে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সকলের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মেলা পরিদর্শনকালে রাজউক চেয়ারম্যান প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং রাইডসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ গুরত্বারোপ করেন। মেলায় আগতদের সাথে রাজউক চেয়ারম্যান কথা বলেন। হাতিরঝিল এলাকায় এ ধরনের আয়োজনে দর্শনার্থীরা তাদের আনন্দের কথা এবং মেলা ভ্রমণকালে তাদের সুবিধা অসুবিধাসমূহ তাকে অবহিত করেন।

এসময় মেলা প্রাঙ্গণে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবারের প্যাকেট ও অন্যান্য আবর্জনা নিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়াও মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তিনি দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। 

প্রকৌশলী মো.

রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব এই পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে দেশবাসীর সাথে আমরাও প্রস্তুত আছি। অনাবিল আনন্দের মধ্য দিয়ে আমরা আগামীকালের উৎসব পালন করব। রাজধানীবাসী যেন নিশ্চিন্তে আনন্দঘন পরিবেশে এই উৎসব পালন করতে পারে, তার জন্য রাজউক সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এ বছর আমরা ঢাকাবাসীর কাছে অন্যরকম একটি আয়োজন পৌঁছে দিব।
 
এসময় তিনি রাজধানীসহ সমগ্র দেশবাসীর প্রতি নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং সকলে সপরিবারে এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। রাজউক চেয়ারম্যান আগামীকাল বিকেল ৪:০০ ঘটিকায় বৈশাখী মেলায় উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের সাথে বৈশাখের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করবেন।

মেলা পরিদর্শনকালে মেলা প্রাঙ্গণে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, মেলা আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফরিদ আহমেদসহ মেলার আয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম র জন য ন কর ন অন ষ ঠ আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

টোকিওতে জমেছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

টোকিওর হিবিয়া পার্ক ঘিরে শরতের নরম আলো আর ঠান্ডা বাতাস। গাছের পাতায় পাল্টাচ্ছে রং।  এমন পরিবেশে জমে গেছে ৩৮তম টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বিশ্বের নানা প্রান্তের চলচ্চিত্রপ্রেমী, নির্মাতা, তারকা আর সমালোচকেরা একত্র হয়েছেন জাপানের এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজনকে ঘিরে। লালগালিচা থেকে সিনেমা হল, মাস্টারক্লাস থেকে টিফ লাউঞ্জ—সবখানেই এখন শুধু চলচ্চিত্রেরই জয়গান।

উৎসবের শুরু
২৭ অক্টোবর, সোমবার সন্ধ্যায় হিবিয়ার ঐতিহ্যবাহী তাকারাযুকা থিয়েটারে উৎসবের পর্দা ওঠে জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। ১৬২ মিটার দীর্ঘ লালগালিচা ধরে হেঁটে যান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। লালগালিচায় ছিলেন অস্কারজয়ী পরিচালক পল শ্রেডার, বিখ্যাত ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ, মালয়েশীয় নির্মাতা চং কিট আউন, কোরিয়ান–চীনা পরিচালক ঝাং লু, স্বনামধন্য চিত্রগ্রাহক ক্রিস্টোফার ডয়েল ও আজারবাইজানি নির্মাতা হিলাল বাইদারোভ। জাপানি চলচ্চিত্রাঙ্গনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অভিনেত্রী তাকিউচি কুমি, পরিচালক ফুকাদা কোজি, নাকাগাওয়া রিউতারো, সাইতো কিয়োকো ও আরও অনেকে।

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরি সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন ইতালীয় চলচ্চিত্র সমালোচক কার্লো চ্যাট্রিয়ান। তাঁর সহ-জুরি দলে রয়েছেন তাইওয়ানের অভিনেত্রী গিওয়েই লুন-মেই, ফরাসি সম্পাদক ম্যাথিউ ল্যাক্লাউ, জাপানি অভিনেতা ও নির্মাতা সাইতোহ তাকুমি এবং চীনা প্রযোজক ভিভিয়ান কু।

বাঁ দিক থেকে পরিচালক সাকামোতো জুনজি, টিফ চেয়ারম্যান আন্দো হিরোইয়াসু, পুরস্কার হাতে অভিনেত্রী ইয়োশিনাগা সায়ুরি, জুরি সভাপতি কার্লো চ্যাট্রিয়ান এবং অভিনেত্রী নন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরফ গলে মেরু এলাকায় নতুন বাস্তুতন্ত্রের খোঁজ
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • মার্কস অলরাউন্ডার: ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরসহ ৯ জেলায় কবে কোথায় প্রতিযোগিতা
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক
  • বিজ্ঞান উৎসব উদ্বোধন করল রোবট নাও
  • ‘ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসবে’ আলোয় ভাসল গারো পাহাড়
  • ব্র্যাকে ইন্টার্নশিপ, স্নাতক পাসে করুন আবেদন
  • টোকিওতে জমেছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
  • সিদ্ধিরগঞ্জ যুবদলের মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন