এয়ারকন্ডিশনের ভেতরে বড় বড় দামি অফিসে বসে তারা সংস্কারের কথা বলছে: তারেক রহমান
Published: 14th, April 2025 GMT
‘বড় বড় জায়গায় বসে, এয়ারকন্ডিশনের ভেতরে বসে, বড় বড় দামি দামি অফিসে বসে তারা সংস্কারের কথা বলছে। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছে, এরা সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে অর্থাৎ সরকার তাদের গাড়ি দিচ্ছে, তাদেরকে বেতন–বোনাস, ভাতা দিচ্ছে, তার ওপর তারা বসে সংস্কারের কথা বলছে,’ কথাগুলো বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার বিএনপি ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেন।
সংস্কার আগে ও নির্বাচন পরে—যাঁরা এ কথা বলছেন, তাঁদের সমালোচনা করে ওই বক্তব্য দেন তারেক রহমান। বিএনপি সংস্কার করবে কি না, সেই সন্দেহ–সংশয়ের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের সেই সংশয় নাকচ করেছেন তিনি।
নিজের এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি এসব সুবিধার ভেতর থেকে সংস্কারের কথা বলেনি। বিএনপি যখন সংস্কারের কথা বলেছে, তখন বিএনপি রাজপথে স্বৈরাচারের সাথে যুদ্ধ করছে একদিকে, আন্দোলন করছে আর আরেক দিকে বিএনপি দেশ গঠনের চিন্তা করছে।’
এখন যাঁরা আগে সংস্কারের কথা বলছেন, তাঁদের মধ্যে কতজন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন, সেই সময় রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছেন, সেসব প্রশ্নও তুলেছেন তারেক রহমান।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দেশজুড়ে হাজার নেতা–কর্মী যখন কারাবন্দী, লাখ লাখ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা এবং তাঁরা যখন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, সেই সময় বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
তাই বিএনপি ক্ষমতায় এলেই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে দেশে সংস্কার করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, ‘হতে পারে আমাদের ভুলত্রুটি আছে, হতে পারে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, হতে পারে আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কোনো কোনো অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় ক্রেডিট হচ্ছে, কেউ যদি অন্যায় করে থাকে, তাহলে আমরা কোনো ডিনায়ালের (অস্বীকার) মধ্যে নেই।’
এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমরা এখনো দেখছি, অনেক রাজনৈতিক দল আছে, কারও নাম বলব না, তাদের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন বিষয়ের খবর, তাদের সদস্যদের আপনারা দেখছেন, আকাশে বাতাসে কান পাতলেই আমরা শুনতে পাচ্ছি। বাট, কাউকে কি দেখেছেন, যারা অন্যায় করেছে, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে? তারা তাদের অন্যায়কারী সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।’
সেখানে বিএনপি অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে যারা দলের ভেতরে থেকে অন্যায় করছে, যেটা সামনে আসছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘ আমরা ডিনায়ালে নেই। কারণ, আমরা বলেছি, অন্যায়কারী কোনো দলের সদস্য হতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় সে অন্যায়কারীই। অন্যায়কারীর সাথে আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই না।’
বিএনপির লক্ষ্য এই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা, এ কথা উল্লেখ করে দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘এই দেশের জন্য বেটার (আরও ভালো) কিছু করা। কিন্তু দল একা পারবে না। আপনাদের সকলকে নিয়ে এই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। কাজেই আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ যখন এগিয়ে আসবেন, তখনি আমাদের পক্ষে সম্ভব ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ত র ক রহম ন ব এনপ র বল ছ ন অন য য় আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
তফসিল ঘোষণা, জাকসু নির্বাচন ৩১ জুলাই
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে এ তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল ঘোষণা করেন জাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা অনুযায়ী, ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। একই দিনে খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। খসড়া ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণের এবং খসড়া আচরণবিধি সম্পর্কে মতামত গ্রহণের শেষ তারিখ ২১ মে। চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে ৩০ জুন।
মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাইয়ের পর খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ জুলাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই এবং প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ১৫ জুলাই। এরপর ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। ফলাফল প্রকাশ করা হবে একই দিনে।