Risingbd:
2025-11-03@20:16:13 GMT

‘বেওয়াচ হোটেল কক্সবাজার’

Published: 14th, April 2025 GMT

‘বেওয়াচ হোটেল কক্সবাজার’

বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে নতুন পর্স, এলিট, নান্দনিক, এক বিশ্বস্ত ও আস্থার নামে পরিণত হচ্ছে ‘বেওয়াচ’। পাঁচ তারকা মানের প্রকৃত সেবা দিয়ে আসছে এই আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট এর ‘বেওয়াচ হোটেল কক্সবাজার’। তাই কক্সবাজারে ঘুরতে গেলে ভ্রমণ পিপাসুরা এখন বেছে নিতে পারেন ‘বেওয়াচ’কে।

এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ নাঈম বলেন, “মূলত কক্সবাজারের ফাইভ-স্টার বেওয়াচ হোটেল শুধু কক্সবাজারে নয়, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী, পর্স, নান্দনিক, এলিট ফাইভ স্টার তারকা হোটেল। কক্সবাজারে বেওয়াচ  আমরা আমাদের গেস্টদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে কোনো আপস করি না।”

তিনি আরো বলেন, “কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী। বিশাল সমুদ্র। পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত। যতই মন খারাপ থাকুন, সাগরের বিশালতার সামনে দাঁড়ালে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। সাথে প্রিয়জন, পরিবার পরিজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধুজন থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ, ঝুট-ঝামেলামুক্ত। এজন্যই কক্সবাজারে আছে  পাঁচ তারকা হোটেল বেওয়াচ। সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, বিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার গেলে সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। সাগরের বিশালতার টানেই হোক কিংবা অবকাশ যাপন, জেলাটি সবসময় মুখর থাকে পর্যটকদের অভিবাদন জানাতে। বিপুল পর্যটকদের রাত্রীযাপন নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের কাছে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। কিন্তু সবগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। নেই নিরাপত্তা।”

তিনি বলেন, “অনেক সময় দীর্ঘ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকরা রুম পান না। অনেক হোটেলে আছে নানা সমস্যা। কিন্তু হোটেল ‘বেওয়াচ’ এসব দিক থেকে ব্যতিক্রম এক ও ঐতিহ্যবাহী, তাদের সাথে আগে যোগাযোগ করে গেলে, রুম, সার্ভিস সব পাবেন নিশ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে একই রকমভাবে গ্রাহকদের পাঁচ তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল এটি। কক্সবাজারে অন্যতম এই হোটেলে নিরাপত্তা, সার্ভিস সুবিধা, কাস্টমারকে সন্তুষ্ট করতে তাদের আছে নানা ব্যবস্থা। এমনকি, তাদের রয়েছে নিজস্ব প্রাইভেট বিচ ও নিরাপত্তা। সেখানে থাকতে দুই রাত, দুই দিনের একোমোডেশান, ব্রেকফাস্টসহ নানা সময়ে তাদের থাকে অসাধারণ প্যাকেজ। থাকে নানা অফার।”

তিনি বলেন, “আমরা গেস্টদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে আপস করি না। আমাদের প্রতিটি ইউনিট শতভাগ কর্পোরেট, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও আন্তরিক। আমাদের সব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অন্যতম ওয়েলকাম ড্রিংকস, ব্রেকফাস্ট (বুফে), এসি ও গিজার ফ্যাসিলিটি, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই, ইন রুম মিনারেল ওয়াটার, কফি, চা, সুবিশাল সুইমিং পুল, জাকুজি, বাগান, রাতে বীচ সাইড লাইভ মিউজিক ও বারবিকিউ, মজাদার খাবার, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস এবং অন্যান্য সুবিধা, প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, পার্কিং সুবিধা, রেস্টুরেন্ট সার্ভিস এবং রুম সার্ভিসসহ অন্যান্য সুবিধা। যা আপনি এবং আপনার ভ্রমণকে আবাসনের ক্ষেত্রে করবে নিরাপদ, আনন্দদায়ক ও আরো মনোমুগ্ধকর।”

‘হোটেল বেওয়াচ’ ইনানী বিচের কাছে অবস্থিত, কক্সবাজার শহর থেকে দূরত্ব মাত্র ২৫ মিনিটের।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের নতুন পর্যটন স্পট ‘আলী বান্দা’

পূর্ব সুন্দরবনের নিসর্গঘেরা অভয়ারণ্যে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র ‘আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার’। সবুজ ম্যানগ্রোভ বনের বুক চিরে, নদীর নোনাজলে ভেসে, প্রকৃতির নীরব সৌন্দর্যে ঘেরা এই কেন্দ্রটি চলতি নভেম্বর মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন আলী বান্দা এরইমধ্যে ভ্রমণপিপাসুদের দৃষ্টি কেড়েছে। শরণখোলা রেঞ্জ অফিস থেকে ট্রলারযোগে মাত্র ৪০ মিনিটের নৌপথ পেরিয়ে পৌঁছানো যায় সেখানে। 

যাত্রাপথে চোখে পড়ে বনের গভীর সবুজ গাছগাছালি, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাওয়া পাখি, কচুরিপানায় ঢাকা জলাশয় এবং সুন্দরী-গেওয়া গাছের সারি যা পর্যটকদের মোহিত করে।

বন বিভাগ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়। এখানে তৈরি হয়েছে ছয়তলা ভবনের সমান উচ্চতার একটি ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে সুন্দরবনের বিস্তৃত সবুজাভ দৃশ্য চোখে ধরা পড়ে। 

রয়েছে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ফুট ট্রেইল (ওয়াকওয়ে)। পথের দুই পাশে ঘন বনের মাঝে হাঁটলে দেখা যায় প্রকৃতির আসল রূপ। এছাড়া রয়েছে মিষ্টি পানির পুকুর, হরিণ রাখার সেড, জেটি, বিশ্রামাগার, সুভেনিয়ার শপ এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় বনরক্ষী ও স্থানীয় গাইডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আলীবান্দা বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর মানুষের জন্য সবচেয়ে সহজগম্য স্পট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কম সময় ও কম ঝুঁকিতে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে এখানে। স্থানীয় পর্যটকরা এরইমধ্যে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন বলেন, “আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে স্থানীয় গাইড, নৌযানচালক, হোটেল ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটনের মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়বে।”

তবে পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ ফি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। আলীবান্দায় প্রবেশের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪৫ টাকা।

শরণখোলা ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল বয়াতী বলেন, ‘‘আলীবান্দায় প্রবেশ ফি ৩৪৫ টাকা, অথচ একই বনের করমজল পর্যটন পয়েন্টে ফি মাত্র ৪৬ টাকা। অনেকেই আলীবান্দায় যেতে আগ্রহী, কিন্তু ফি বেশি হওয়ায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’’

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আলীবান্দা এখন প্রায় প্রস্তুত। চলতি মাসেই এখানে হরিণ আনা হবে। বর্তমানে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে স্পটটি। যেহেতু এটি ২০১৭ সালে ঘোষণা করা অভয়ারণ্য এলাকার অন্তর্ভুক্ত, তাই সাধারণ বনাঞ্চলের তুলনায় কিছু বিধিনিষেধ ও প্রবেশ ফি বেশি রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকদের দাবির বিষয়টি আমরা সরকারের কাছে জানাব।’’

ঢাকা/শহিদুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই দিনে যেতে পারেননি কোনো পর্যটক, কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন জাহাজ চলাচল অনিশ্চিত
  • অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
  • সেন্টমার্টিনের দ্বার খোলা, ছাড়েনি জাহাজ
  • পর্যটন শিল্প বিকাশে আইকন গ্লোবাল ট্যুর অপারেটর আল মামুন
  • সুন্দরবনের নতুন পর্যটন স্পট ‘আলী বান্দা’
  • কক্সবাজার সৈকতে ঘোড়া, কুকুর ও গরু, স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটুকু