বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখের নববর্ষ উদযাপন। নানা আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে দিনটি। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় পয়লা বৈশাখের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র। রাজধানীর মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকের সামনে প্রচণ্ড ভিড়। প্রাণী ও পাখির খাঁচাগুলোর সামনে মানুষের ভিড়। নারায়ণগঞ্জ সদর থেকে বাবা-মা ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, “একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি।পয়লা বৈশাখ ও  ঈদে ছুটি পাই।  ঈদের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। নববর্ষে আজ সবাই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছি।”

আরো পড়ুন:

রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ

চট্টগ্রামে নববর্ষের পূর্ব নির্ধারিত সব অনুষ্ঠান হবে: জেলা প্রশাসন

কথা হয় দর্শনার্থী মরজিনা আহসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, “সকালে ভাই-বোনরা সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছি। সবাইকে নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এলাম।”

সানাউল হক নামের একজন দর্শনার্থী বলেন, “ঈদের সময় বাবা অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাইনি। আজ পয়লা বৈশাখ বের হয়েছি।”

জাতীয় চিড়িয়াখানার তথ্য অনুযায়ী, বাঘ, ভাল্লুক, হরিণ, সিংহ, বানর, জলহস্তী, কুমির, সাপ, ইম্পালা, গয়াল,উট পাখি, লামা, ময়না, টিয়া, ক্যাঙারু, জিরাফ, জেব্রা, হাতি, ময়ূর, উটপাখি, ইমু, শঙ্খচিল, কুড়াবাজ, তিলাবাজ, গন্ডার, হায়েনাসহ ১৩৬ প্রজাতির তিন হাজার ৩৪টি প্রাণী ও পাখি রয়েছে চিড়িয়াখানায়।

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় আজ। সরকারি ছুটি হওয়ায় আজ দর্শনার্থীর চাপ বেশি। চিড়িয়াখানার ভেতরে ধুলা যাতে না হয়, সে কারণে  নিয়মিত পানি ছিটানো হয়।” 

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নববর ষ উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ