যেসব কারণে আপনি কাপড়ের আলমারি গুছিয়ে রাখতে পারেন না
Published: 14th, April 2025 GMT
ক্যাটাগরি না করা
ধরা যাক, অনলাইনে অর্ডার করে সুন্দর একটা টপস কিনেছেন। ট্রায়াল দিয়ে দেখলেন, বেশ মানিয়েছে। এরপর কী করবেন? ভাঁজ করে আলমারিতে সাজিয়ে রাখবেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুই দিন পর যখন টপস খুঁজে বেড়াচ্ছেন, সারা আলমারি তন্ন তন্ন করেও সেটা আর পাচ্ছেন না। কেন? কারণ, টপসটা রেখেছিলেন শাড়ির সঙ্গে। শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে কোথায় হারিয়ে লুকিয়ে আছে, জানা নেই। আলমারিতে জামাকাপড় সারিবদ্ধ করে না রাখলে এমন বিপত্তি বেশ স্বাভাবিক। আলমারির হাজারো জামাকাপড়ের ভিড়ে কাঙ্ক্ষিত জামাটি হারিয়ে যেতে পারে সহজেই। তাই আলমারিতে ক্যাটাগরি করে জামাকাপড় সাজিয়ে রাখুন। এতে খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত জামাকাপড়পছন্দ হলেই এটা–সেটা কেনার অভ্যাস কিংবা বদভ্যাস আছে অনেকের। অগোছালো আলমারির এটাও একটা কারণ। এভাবে দেদার কেনাকাটার ফলে একটার পর একটা জামাকাপড় জমতে থাকে আলমারিতে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জামাকাপড় পড়ে যায় নিচে বা পেছনে। ফলে প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাওয়া আরও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। ফলে যে জামাকাপড়গুলো পুরোনো হয়ে গেছে কিংবা নষ্ট, তা আলমারি থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও রাখুন। এতে অতিরিক্ত জামাকাপড় আলমারি থেকে দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনপুরোনো কাপড় ভালো রাখবেন যেভাবে০১ জুলাই ২০২৪আলমারিতে যথেষ্ট জায়গা না থাকাবর্তমানে বেশির ভাগ মানুষই রেডিমেড আলমারি কেনেন। দামে কম, মানেও ভালো—সব মিলিয়ে মানুষের পছন্দের তালিকায় ঠাঁই পাচ্ছে এ ধরনের আলমারি। এতে প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হলেও দেখা যায় জায়গার স্বল্পতা। আলমারিগুলো বানানো হয় নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রয়োজন মাথায় রেখে। সবার আলমারিতে তো আর সবকিছুর প্রয়োজন নেই। ফলে দেখা যায়, রেডিমেড আলমারি কেনা হলেও তার বেশির ভাগ জায়গাই অপচয় হয় সঠিক ব্যবহারের অভাবে।
ভার্টিক্যাল স্পেস ব্যবহার না করাবেশির ভাগ সময় রেডিমেড আলমারিগুলোর ভার্টিক্যাল স্পেস বা লম্বালম্বি জায়গা ঠিকমতো ব্যবহার করা হয় না। ফলে আলমারি বিশাল হলেও সঠিক ব্যবহারের অভাবে আলমারি হয়ে থাকে অগোছালো।
আরও পড়ুনওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরি১৮ মার্চ ২০২৫ভাঁজ করা ও ঝুলিয়ে রাখার মধ্যে পার্থক্য করতে না পারাসব জামাকাপড়ই যে ভাঁজ করে রাখলে ভালো থাকবে, তেমনটা নয়; বরং কিছু কিছু জামাকাপড় ভাঁজ না করে ঝুলিয়ে রাখলেও ভালো থাকে এবং আলমারির জায়গা অনেকটা বেঁচে যায়। শার্ট ও পাঞ্জাবিজাতীয় জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অনেকে। এতে আলমারির জায়গার অপচয় হয়। ঝুলিয়ে রাখলে বরং তা কাপড়ের জন্য যেমন ভালো, জায়গারও অপচয় হয় না।
শুকানো কাপড় ঠিক করে না রাখাকাজের ব্যস্ততায় বা সময়ের অভাবে অনেকেই শুকানো কাপড় স্তূপ করে সরাসরি আলমারিতে রেখে দেন। যাতে ধোয়া কাপড়গুলো একত্রে খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু এতে আরও বিপত্তি বাড়তে পারে। বিভিন্ন ধরনের কাপড় একসঙ্গে থাকলে তা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেক গুণ।
তথ্যসূত্র: রিয়েল সিম্পল
আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আলম র র আলম র ত ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই’
নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেছেন, ‘‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়ির গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।’’
শুক্রবার (১৩ জুন) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
১৩ লাখ ২০ হাজার টন জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
কমল ডিজেল-অকটেন-পেট্রোলের দাম, কেরোসিনে বেড়েছে ১০ টাকা
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘‘গৃহস্থালিতে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে অপচয় করা হয়। গ্যাস সংযোগ বন্ধ করতে পারলে সেটাই হতো সঠিক সিদ্ধান্ত। যেখানে শিল্প-কারখানা পর্যাপ্ত গ্যাস পাচ্ছে না, সেখানে বাসাবাড়িতে নতুন সংযোগ দেওয়া মানে অপচয় বাড়ানো। এ কারণে নতুন সংযোগ আর নয়।’’
সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের আবাসিক গ্যাস সংযোগ দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন হয়, সেসব অঞ্চলে সরকার স্বল্প মূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নেবে।’’
ফাওজুল কবির বলেন, ‘‘দেশে প্রতি বছর ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস উৎপাদন কমছে। ফলে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে এলএনজি আমদানি কমাতে।’’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘কৈলাশটিলা-৭ এবং সিলেট-১০ নম্বর কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।’’
ঢাকা/নূর/রাজীব