ঢাকার অদূরে সাভার উপজলায় আশুলিয়ায় নির্মাণাধীন ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি ‘পিআর ক্যাপের’ শাটার খুলে একটি লরির ওপর পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগরমুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিআর ক্যাপের একটি শাটারের পাইপে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অবশ্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যে পিলারের ওপরের অংশ থেকে শাটার পড়েছে, সেই পিলার টিন দিয়ে ঘেরা। কোনো গাড়ি ধাক্কা দিতে গেলে প্রথমে ঘেরা দেওয়া টিন ভেদ করতে হবে; কিন্তু টিন অক্ষত পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘রাত আটটার দিকে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় নির্মাণাধীন ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান নবীনগরমুখী লেনে থাকা একটি লরির ওপর বড় আকৃতির লোহার খণ্ড (পিআর ক্যাপের শাটার) পড়ে আছে। লোহার অপর একটি অংশ ফুট ওভারব্রিজের ওপর পড়ে আছে। পরে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেগুলো সরানোর চেষ্টা চালায়।’

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের আগে পিআর ক্যাপ ঢালাই করা হয়েছিল। এখন সেটি খোলা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে খোলা শুরু হয়। পুরোটা খুলতে দুই দিন সময় লাগে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, একটি লরি ওই দিক দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পরে শাটারের পাইপের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে শার্টারটির ওপরের কিছু অংশ খুলে লরির ওপর পড়ে আটকে যায়। এ ঘটনায় পিআর ক্যাপ, ঢালাই ও সড়কের কোনো ক্ষতি হয়নি।

ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই জায়গার (ঘটনাস্থল) পিলারটি টিন দিয়ে ঘেরা। কোনো গাড়ি ধাক্কা দিলে টিনের ঘেরা অংশটিতে আগে ধাক্কা দিতে হবে। টিন অক্ষত থাকায় গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে না।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সওগাতুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, শাটার সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনার সময়ে ৯টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর থেকে সড়ক খুলে দেওয়া হলে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প আর ক য প র র ওপর র একট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

অতিরিক্ত গরমে পেট ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে

শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবেন না

গরমে পেটের পীড়া তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে পানিশূন্যতা। গ্রীষ্মকালে প্রয়োজনের তুলনায় যেমন বেশি পানি খাওয়া হয়, তেমনি তা দ্রুত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়েও যায়। যে কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি খাওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পানির অভাবে খাবারও ঠিকঠাক হজম হয় না। তৈরি হতে পারে কোষ্টকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি।

অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার ও পানীয় খাবেন না

গরমে ঠান্ডা পানি ও খাবারের লোভ সামলানো দায়। বাইরে থেকে এসে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানি কিংবা জুস দেখলেই অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু এমন সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুনঠান্ডা-কাশি হলে কি টুথব্রাশ বদলানো জরুরি১০ এপ্রিল ২০২৫বাইরের খাবার বাদ দিন

গরমকালে রাস্তার পাশে দেখা যায় শরবত, জুস কিংবা কুলফি মালাইয়ের দোকান। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো এ ধরনের পানীয় বা খাবার থেকে তৈরি হতে পারে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা রকম পেটের পীড়া।

খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করবেন না

গ্রীষ্মকালে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম পেট একেবারেই নিতে পারে না। বিশেষ করে কিছুক্ষণ পরপর পানি খাওয়ার ফলে পেট সারা দিন ভরা ভরা লাগে। ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় খাবারের অনিয়মে। এই অনিয়ম থেকে হতে পারে পেটের পীড়া।

সূর্যের তীব্রতা থেকে নিজেকে আড়াল রাখুন

সারা বছর যাঁরা ছোটখাটো পেটের পীড়ায় ভোগেন, গ্রীষ্মকালে তাঁদের ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে। কারণ, গ্রীষ্মকালে সূর্যের তীব্র আলো শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। সেই প্রদাহ থেকে পেটে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুনগরমে যেসব রঙের পোশাক পরলে আরাম পাবেন২২ এপ্রিল ২০২৫গরমেও সুস্থ থাকার উপায়

পর্যাপ্ত পানি খান: গ্রীষ্মকালে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এই পানির অভাব পূরণ করতে প্রতিদিন তেষ্টা বুঝে পানি খান। পানির পরিবর্তে ডাবের পানি, ঘরে তৈরি জুস, লেবুর শরবত খেতে পারেন। তবে কৃত্রিম মিষ্টি থেকে দূরে থাকাই ভালো।

মৌসুমি ফল খান: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু থেকে শুরু করে তরমুজ, বেল, বাঙি—বাহারি ফলের মৌসুম গ্রীষ্মকাল। এসব ফল পেট শান্ত রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ফলের রস পানিশূন্যতা দূর করতেও সহায়ক।

বাসার খাবার খান: গরমে বাইরের খাবার শরীরে বেশ বাজে প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ঝাল, তেল, মসলা শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গ্রীষ্মকালে চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার। এতে পেটের ওপর চাপ কম পড়বে।

ঠান্ডা খেতে চাইলে: ঘরের বাইরে থেকে এসেই ঠান্ডা কিছু খাওয়া কখনোই ভালো নয়। খাইতে চাইলে কিছুটা সময় নিন। তবে ঠান্ডা খাবার বলতে কেবল আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয়ই নয়, বেছে নিতে পারেন দই, ঘরে তৈরি লাচ্ছি অথবা মালাই।

খাবারে অনিয়ম করবেন না: গ্রীষ্মকালে যতই পেট ভরা লাগুক না কেন, সময়মতো তিন বেলা খাবার খেতে ভুলবেন না। সময়মতো খাবার খেলে পেটের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায় সহজে।

সূত্র: জেম হসপিটাল ও কাইজেন গ্যাস্ট্রো কেয়ার

আরও পড়ুনগরমে ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস খাওয়া কি ঠিক০৬ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অতিরিক্ত গরমে পেট ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে