ক্যান্সারে আক্রান্ত নায়ক জাভেদকে নেওয়া হলো হাসপাতালে
Published: 16th, April 2025 GMT
বাংলা সিনেমার সোনালী দিনের চিত্রনায়ক ইলিয়াস জাভেদের শারীরিক অবস্থা ভালো না। বুধবার দুপুরে তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কার্যনিবার্হী সদস্য সনি রহমান।
তিনি বলেন, ‘একদিকে তিনি ক্যান্সারের রোগী অন্যদিক হার্টের সমস্যা। এর আগে দুইবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।’
নায়ক জাভেদের স্ত্রী ডলি চৌধুরীর বরাত দিয়ে সনি রহমান বলেন, ‘নায়ক জাভেদ বেশ আগে থেকেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। আজ হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাসার নিকটতম উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতে নিয়ে যাওয়া হয়। জাভেদ ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার স্ত্রী।’
উর্দু ছবি ‘নয়ি জিন্দেগি’ দিয়ে নায়ক হিসেবে অভিষেক তার। ছবিটি ১৯৬৪ সালে মুক্তি পায়। তবে চাহিদা বাড়তে থাকে ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পায়েল’ ছবির মাধ্যমে। এই ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন শাবানা। এরপর প্রায় ২০০ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন জাভেদ। নব্বই দশক পর্যন্ত সুবর্ণ সময় কাটিয়েছেন সিনেমায়।
নায়ক জাভেদের আলোচিত সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘মালকা বানু’, ‘অনেক দিন আগে’, ‘শাহজাদী’, ‘নিশান’, ‘রাজকুমারী চন্দ্রভান’, ‘কাজল রেখা’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘নরম গরম’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘আজো ভুলিনি’, ‘চোরের রাজা’ ও ‘জালিম রাজকন্যা’।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।