চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান, ক্ষমতার পালাবদল, রাষ্ট্র ও সমাজে বিবিধ পরিস্থিতি, মব ভায়োলেন্স, আইনশৃঙ্খলা ইস্যু—সবকিছু মিলিয়ে এবারের পয়লা বৈশাখ কেমন হবে, কতটা স্বতঃস্ফূর্ত হবে, তা নিয়ে অনেকেরই একপ্রকার সংশয় ছিল। থাকাটাই স্বাভাবিক।

আর প্রতিবছর পয়লা বৈশাখ আসলে ধর্ম-সংস্কৃতি নিয়ে ‘বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য—কাজিয়া’ এবারও ছিল যথারীতি। সেই কাজিয়া এবার কতটা প্রকট হয়ে ওঠে, তা নিয়েও যে অনেকের মধ্যে দুশ্চিন্তা ছিল না, তা নয়। আর রাজনৈতিক ক্যাচাল থাকবে, তা তো আরও বেশি স্বাভাবিক। যেহেতু বিগত বছরগুলোতে পয়লা বৈশাখকে কীভাবে রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে, সেই আলাপও হাজির আছে।

‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ নামে মোটিফে পতিত স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনাকে উপস্থাপন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক ছিল শুরু থেকেই। পয়লা বৈশাখের দুই দিন আগে সেটি পুড়িয়েও দেওয়া হলো। অভিযোগ উঠল পতিত শক্তির বিরুদ্ধে। এরপর তো আবারও নতুন করে তৈরিই করা হলো সেই মোটিফ। ধর্মীয় গোষ্ঠীর আপত্তির মুখে বা সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদকে তুষ্ট করতে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পাল্টে করা হলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। চারুকলার আয়োজনের ওপর এভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমালোচনা ও তর্ক–বিতর্কও উঠলো।

Sazid Hossain.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ