আউটসোর্সিং-কর্মীদের কোনা এলাকায় কত বেতন, জানাল অর্থ মন্ত্রণালয়
Published: 17th, April 2025 GMT
আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত জারি জারি করা নীতিমালায় বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী নাগরিকেরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাবেন। এর আওতায় সর্বোচ্চ মাসিক বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৯৭৮ টাকা। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মাসিক এই সেবামূল্য নীতিমালায় ধার্য করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, বিশেষ সেবা-১ এর আওতায় সোসিওলোজিস্ট, প্রকৌশল সেবা, প্রশিক্ষণ সেবা, গবেষণা, ব্যবস্থাপনা সেবা, পরিদর্শন সেবা, আইটি সেবা এবং অনুরূপ সেবার ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ৪২ হাজার ৯৭৮ টাকা পাবেন। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ৪০ হাজার ৩০২ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ৩৮ হাজার ৯৬৪ টাকা।
বিশেষ সেবা-২ এর আওতায় প্রকৌশল সেবা (ডিপ্লোমা), প্রশিক্ষণ সেবা (সহযোগী), পরিদর্শন সেবা (সহকারী), ফোরম্যান, বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি চালনা, টেকনিশিয়ান (সহযোগী) এবং অনুরূপ সেবার ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্তরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ২৮ হাজার ৩৬৯ টাকা পাবেন। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ২৬ হাজার ৬৩৬ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ২৫ হাজার ৭৬৯ টাকা।
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫বিশেষ সেবা-৩ এর আওতায় প্রশিক্ষণ সেবা (সহকারী), টেকনিশিয়ান (সহকারী), গবেষণা এবং অনুরূপ সেবার ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্তরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ২২ হাজার ৫৯৮ টাকা পাবেন। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ২১ হাজার ২৭৯ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ২০ হাজার ৬২০ টাকা।
এই তিনটি সেবা ক্যাটাগরি ‘বিশেষ সেবা-১’, ‘বিশেষ সেবা-২’ এবং ‘বিশেষ সেবা-৩’ এর বাইরে আরও ৫টি সেবার ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে ক্যাটাগরি-১ হলো:
ড্রাইভার (হেভি), সুপারভাইজার, কেয়ারটেকার, ওয়ার্ড মাস্টার, ইলেক্ট্রিশিয়ান, লিফট মেকানিক, এসি মেকানিক, পাম্প মেকানিক, জেনারেটর মেকানিক, অন্যান্য কারিগরি কাজসংক্রান্ত টেকনিশিয়ান এবং অনুরূপ কাজের সেবা। এ ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্তরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ২০ হাজার ২১২ টাকা পাবেন। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৯ হাজার ৮০ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ১৮ হাজার ৫১৪ টাকা।
ক্যাটাগরি-২:
ড্রাইভার (লাইট), স্যানিটারি মিস্ত্রি (প্লাম্বার মিস্ত্রি), রাজমিস্ত্রি (ম্যাসন), কাঠমিস্ত্রি (কার্পেন্টার), রংমিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, এয়ারকন্ডিশন অপারেটর, জেনারেটর অপারেটর, ওয়েম্যান, ওয়েল্ডার, মিটার রিডার এবং অনুরূপ কাজের জন্য নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ১৯ হাজার ৬৩৬ টাকা পাবেন। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৮ হাজার ৫৪০ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ১৭ হাজার ৯৯২ টাকা।
আরও পড়ুনখাদ্য অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, ১৩ থেকে ১৯তম গ্রেডে পদ ১৭৯১১১ মার্চ ২০২৫ক্যাটাগরি-৩:
সহকারী ইঞ্জিন মেকানিক, টেন্ডল, গ্রিজার, টেইলর, ডুবুরি এবং অনুরূপ কাজের সেবার জন্য নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ১৯ হাজার ২৩৬ টাকা পাবেন। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৮ হাজার ১৬৫ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ১৭ হাজার ৬৩০ টাকা।
ক্যাটাগরি-৪:
লন্ড্রি অপারেটর, ফরাশ জমাদার, সহকারী ইলেক্ট্রিশিয়ান, সুকানি, বাবুর্চি (কুক), গার্ডেনার (বাগানকর্মী), দক্ষ শ্রমিক এবং অনুরূপ কাজের সেবার জন্য নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা পাবেন। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৭ হাজার ৬২৫ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ১৭ হাজার ১০৮ টাকা।
ক্যাটাগরি-৫:
সিকিউরিটি গার্ড (নিরাপত্তা প্রহরী), ক্লিনার (পরিচ্ছন্নতা কর্মী), সহকারী গার্ডেনার, ইলেকট্রিক্যাল হেলপার, কার্পেন্টার (কাঠমিস্ত্রি) হেলপার, স্যানিটারি হেলপার, পাম্প হেলপার, গাড়ির হেলপার, এসি মেকানিক হেলপার, চৌকিদার, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, ওটি অ্যাটেনডেন্ট, ইমার্জেন্সি অ্যাটেনডেন্ট, স্ট্রেচার বেয়ারার, ওয়ার্ড বয়, আয়া, সহকারী বাবুর্চি, লিফটম্যান, লাইনম্যান, লস্কর, মেশোন হেল্লার, মেসেঞ্জার, মশালচি, এনিমেল অ্যাটেনডেন্ট, গেস্ট হাউজ অ্যাটেনডেন্ট, হোটেল অ্যাটেনডেন্ট, ডোম, বাইন্ডার, অদক্ষ শ্রমিক এবং অনুরূপ কাজের সেবার জন্য নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ১৮ হাজার ১৮০ টাকা পাবেন। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৭ হাজার ১৭৫ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ১৬ হাজার ৬৭৩ টাকা।
নীতিমালা অনুযায়ী, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সেবাকর্মীর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা থাকতে হবে এবং আগ্রহী সেবাকর্মীর বয়সসীমা ১৮-৬০ বছর হবে।
আরও পড়ুনআউটসোর্সিং নীতিমালা জারি: ঈদ-বৈশাখে প্রণোদনা, মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন নারীরা১৫ এপ্রিল ২০২৫এদিকে আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫’-এ বলা হয়েছে, বছরে দুটি উৎসবে (ঈদ) এক মাসের সেবামূল্যের অর্ধেক হারে উৎসব প্রণোদনা পাবেন কর্মীরা। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী প্রণোদনা পাবেন মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ হারে। বছরে ১৫ দিনের ছুটি পাবেন কর্মীরা। নারী কর্মীদের জন্য ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং নারীবান্ধব কাজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা আছে নীতিমালায়।
নতুন এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো—আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে সেবা কর্মীদের উৎসাহিত করা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন নীতিমালায় পাঁচটি সাধারণ ক্যাটাগরি এবং তিনটি বিশেষ সেবার মাসিক সেবামূল্য বাড়ানো হয়েছে। প্রতি অর্থবছরে প্রতিটি সেবাকর্মীকে দুটি করে ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় তা পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তাদের মৌলিক কাজের বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। সেবাকর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে নীতিমালায়। তাদের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে।
সেবামূল্য সরাসরি কর্মীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে দেওয়া হবে। এবং মাসিক সেবামূল্য পরিশোধ করা হবে কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহেই। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেবাকর্মীদের সেবামূল্য ও প্রণোদনার পরিমাণ অর্থ বিভাগের সময়োপযোগী নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। নির্ধারিত সেবাঘণ্টাকে সেবা সময় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে সেবা ক্রয়কারীর চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সেবার প্রয়োজন হলে, অর্থ বিভাগের সম্মতিক্রমে চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ও গ জ প র স ট স ভ র প র এল ক র ক ষ ত র অন র প ক জ র স ব আউটস র স স ব কর ম কর ম দ র ১৮ হ জ র ১৭ হ জ র বর শ ল কর ম র অন য য় সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।