বিএসএমএমইউয়ে নার্সিং ভর্তি, হতে হবে অবিবাহিত, ২০২১–এ এসএসসি হলেও আবেদন
Published: 17th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) নার্সিং অনুষদের অধীন ‘বিএসসি ইন নার্সিং’ কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং কোর্সে প্রথম বর্ষে ছাত্র–ছাত্রী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এই বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ৬ মাস ইন্টার্নশিপ করতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা—এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২১ ও ২০২২ সালে এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষাগুলোর জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৭ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৩-এর কম হলে চলবে না। উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে জিপিএ-৩ থাকতে হবে।
প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। কোর্স চলাকালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না। কোর্সের যেকোনো পর্যায়ে বিবাহিত প্রমাণিত হলে ভর্তি বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুনফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম, আইইএলটিএসে ৭ স্কোরে বৃত্তির আবেদন৫ ঘণ্টা আগেবয়সসীমা—২ জুলাই ২০২৫ সালে আবেদনকারীর বয়স অনূর্ধ্ব ২২ বছর হতে হবে।
আবেদন যেভাবে—আগ্রহী প্রার্থীদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
নার্সিংয়ের আবেদন ও পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
অনলাইনে আবেদন শুরু: ৬ এপ্রিল থেকে
ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন: ১৭ মে ২০২৫
আবেদনের শেষ দিন: ১৮ মে ২০২৫, রাত ১২টা
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫পরীক্ষা কবে: ২৪ মে সকাল ১০টায় বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফলাফল ওই দিনই সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
মৌখিক পরীক্ষা ২৬ মে থেকে ২৭ মে সকাল ৯টায় গ্র্যাজুয়েট নার্সিং বিভাগ, একাডেমিক ভবন, বিএসএমএমইউ, পরিবাগ, ঢাকায় হবে।
প্রাথমিক নির্বাচিত প্রার্থীদের নামের তালিকা ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
**বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপে আবেদন শুরু, আইএলটিএসে ৬.৫ অথবা টোয়েফলে ৮৪ হলে আবেদন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অকার্যকর সিসি ক্যামেরা, পানি নেই ছয় মাস
কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ধরলা সেতু-সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্টে ৬ মাস ধরে নেই পানির ব্যবস্থা। অকার্যকর হয়ে আছে নিরাপত্তায় ব্যবহার করা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের শৌচাগারও ব্যবহারের অনুপযোগী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই চেকপোস্ট এভাবে পড়ে থাকলেও টনক নড়েনি জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিন দেখা যায়, চেকপোস্টের সামনে ভেঙে পড়ে আছে ব্যারিকেড দেওয়ার যন্ত্র। আশপাশে লাগানো সচেতনতামূলক বিলবোর্ডগুলোও উধাও। ভ্যাপসা গরমে চেকপোস্টের ভেতরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা রীতিমতো ঘামছেন। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানি নেই। বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা। পাম্প চালু করলেও পানি ওঠে না। খাবার পানিসহ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বাইরের চায়ের দোকান থেকে জগে করে পানি এনে রাখতে হয়। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কয়েকবার ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মূল থানায় যেতে হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধমূলক কাজ প্রতিরোধে অভিযান বা তল্লাশিতে বিঘ্ন ঘটে।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাদক কেনাবেচা, যৌন হয়রানি ও ছিনতাই রোধ, দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা, সীমান্ত থেকে অবৈধ চোরাচালান বন্ধসহ নিরাপত্তার স্বার্থে ধরলা সেতু এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়। ওই সময় আশপাশের নিরাপত্তার জন্য ৪টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়। অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে চেকপোস্টগুলো।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর চেকপোস্ট থেকে চেয়ার-টেবিল, আসবাব লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। এর পর থেকে সেভাবেই পড়ে আছে জননিরাপত্তার স্বার্থে নির্মিত এই পুলিশ চেকপোস্ট। ২০২১ সালে পাশের একটি দোকান থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হলেও বিল পরিশোধে গড়িমসি করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দ্বিতীয় দফায় আরেকটি দোকান থেকে সংযোগ নেওয়া হয়। সেই বিল পরিশোধেও উদ্যোগ নেই। নানা সমস্যায় জর্জরিত চেকপোস্টে ৫ জন পুলিশ সদস্য প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা ডিউটি করছেন।
চেকপোস্টের পাশের চায়ের দোকানদার মো. কাওসার বলেন, চেকপোস্টটা চালু থেকেই আলাদা বিদ্যুতের মিটার লাগানো হয়নি। আমার কাছ থেকে সংযোগ নেওয়া হয়। এতে অনেক বিল বকেয়া পড়ে। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
ব্যবসায়ী মো. বিদ্যুৎ বলেন, ‘৫ মাস হলো চেকপোস্টে দোকান থাকি লাইন দিছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিলের টাকা দেয়নি। টাকা চাইলে বলে, স্যারের সাথে দেখা করো। আমরা ভয়ে টাকা চাইতে যাইতে পারি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘রাতের বেলা ডিউটি করতে কষ্ট হয়। আলোর অভাবে ঠিকমতো তল্লাশি করা যায় না। সিসি ক্যামেরা নষ্ট। স্যারদের অনেকবার বলা হয়েছে। কোনো লাভ হয়নি।’
পুলিশ চেকপোস্টে নিয়োজিত ইনচার্জ মো. নওশাদ আলী বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সিসি ক্যামেরা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ছয় মাস ধরে পানি নেই। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বাজেট এলে সব মেরামত করা হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ধরলা সেতুর চেকপোস্ট কিশোর অপরাধ দমনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এখানে পানির সমস্যা, সিসি ক্যামেরা নেই। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিষয়টি এসপি স্যারকে জানানো হবে।
জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার বজলার রহমান বলেন, বিষয়গুলো আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।