ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন দিয়া মির্জা
Published: 17th, April 2025 GMT
নব্বই দশকের বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। একাধিক হিট ছবি রয়েছে দিয়ার ঝুলিতে। রোম্যান্টিক নায়িকা হিসেবেই পর্দায় দিয়া মির্জাকে দেখতে অভ্যস্ত দর্শক। কিন্তু ২০১৯-এর সত্য ঘটনা অবলম্বনে ‘কাফির’ সিরিজে তার অভিনয় সাড়া ফেলেছিল। এ সিনেমার ধর্ষণের একটি দৃশ্য নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন দিয়া মির্জা।
তার মতে, ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় মোটেও সহজ নয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি সিএনএন নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিয়া মির্জা বলেন, ‘আমার মনে আছে যখন ধর্ষণের দৃশ্যের শুটিং চলছিল সেটা কতটা কঠিন ছিল। শট দেওয়ার পর আমার সারা শরীর কাঁপছিল। এতটাই অস্বস্তি হচ্ছিল যে বমি করে ফেলেছিলাম। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ওই মুহূর্তটা কতটা কঠিন সেটা কাউকে বলে বোঝানো অসম্ভব।’
৪৩ বছর বয়সী দিয়া মির্জা জানান, একজন পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে চরিত্রটাকে পর্দায় বাস্তবায়িত করে তোলাটাই ছিল তার কাজ। সে জন্য হাজার সমস্যা সত্ত্বেও নিজের সেরাটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
অভিনেত্রী কথায়, ‘আমি মনে করি একজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর কাছে চরিত্রটা প্রধান গুরুত্ব। সিনেমার পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলাই মূল লক্ষ্য। তাই যখন যে দৃশ্যের শট দেওয়ার জন্য তৈরি হই তখন নিজেকে সেটার মধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে হয়। বাস্তবে মা হওয়ার আগে এই চরিত্রে অভিনয় করার সময়ই আমি যেন প্রকৃত পক্ষেই মা হয়ে উঠেছিলাম। কারণ, অভিনয় করার সময় মাতৃত্বের বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করছিলাম। মাতৃসুলভ মনোভাব তৈরি হয়ে গিয়েছিল।’
হিমাচল প্রদেশে শুটিং হয়েছিল এই ছবির বেশির ভাগ দৃশ্যের। ৩৬০ পাতার চিত্রনাট্যের শুটিংয়ে ৪৫ দিনে শেষ করেছিলেন তিনি।
দিয়ার কথায়, ‘বেশ কিছু কঠিন মুহূর্ত ছিল এই ছবির শুটিং-এ। খুব সুন্দর পরিবেশে শুটিং করছিলাম আমরা। হিমাচলে ৩৬০ পাতার চিত্রনাট্যের শুটিং আমরা ৪৫ দিনে শেষ করেছিলাম। তাই শুটিং-এর মাঝে মাত্র ১৫-১৮ মিনিট বিরতি পেতাম। খুবই কঠিন ছিল সবটা। তবে এই ধরনের গল্প সচরাচর বলা হয় না। তাই এই সিরিজ বা ছবি আমাদের কাছে একটি জয়।’ সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সেপ্রেস ও হিন্দুস্থান টাইমস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
সাভারে সেলফি পরিবহনের একটি চলন্ত বাসের ধাক্কায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন সাবেক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক বাস ও বাসের চালককে আটক করে স্থানীয়রা। পরে সেলফি পরিবহনের আরও পাঁচটি বাস আটক করে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মচারীরা।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ এর দিকে সাভারের আশুলিয়া এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে ঢাকা মুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন, চাঁদপুর জেলার মতলব থানার লোকমান মোল্লার ছেলে শামসুল মোল্লা (৭০)। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের শ্রীপুর(গাজীপুর) উপকেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আটককৃত বাসের চালক হলেন, ঢাকার ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের আব্দুল মবেদের ছেলে আব্দুল করিম (৪৫)।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অল্প কিছুদিন আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। তার পাওনাদি নেওয়ার জন্যেই তিনি আজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসেছিলেন।
সাভার হাইওয়ে থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিষ্ণু পদশর্মা বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে আমরা এসেছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।”
ঢাকা/সাব্বির/এস