শিশু জুঁই হত্যা: অপরাধীদের গ্রেপ্তার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
Published: 17th, April 2025 GMT
পাবনার চাটমোহরে ছয় বছরের শিশু জুঁইকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকালে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী বাজারে প্যাসিফিক একাডেমীর আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ নেন। তারা জুঁই হত্যার প্রতিবাদ এবং বিচার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, ঘটনার দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কেউই স্বস্তি পাচ্ছেন না। সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যাকারীরা যেন কোনোভাবেই রেহাই না পায়। হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চড়ইকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস রঞ্জন তলাপাত্র, কাটাখালি আইনুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নাসির উদ্দীন, কাটাখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় মিরাজুল ইসলাম জুয়েল, কুদরত আলী, প্যাসিফিক একাডেমির পরিচালক হুমায়ুন কবির ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আহসান হাবিব আরিফ প্রমুখ।
সোমবার বিকেলে দাদির কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় জুঁই। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার। পরদিন মঙ্গলবার বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ শ হত য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে জুম্মাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তাঁর অনুসারীরা। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নন্দনপুর বাজারে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে নন্দনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন ওরফে মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে না দেওয়ার অভিযোগে গত বুধবার পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা বিএনপি।
বুধবার দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের পরও সেদিন বিকেলেই আয়োরুল ইসলাম পুঠিয়ার জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নেন।
‘পুঠিয়া-দুর্গাপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণ’–এর ব্যানারে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর নন্দনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছিলেন। শিক্ষার পরিবর্তে সেখানে প্রতিদিন চলত আওয়ামী লীগের মিছিল–সভা, আর বিএনপি নিধনের পরিকল্পনা।
বক্তারা দাবি করেন, ৫ আগস্টের পর স্থানীয় লোকজন মনোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেননি। এরই জের ধরে বিএনপির ত্যাগী নেতা আনোয়ারুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। অবিলম্বে অবৈধ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তাঁরা হুঁশিয়ার করেন।
এ বিষয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই।’