ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জহির রায়হানকে ছয় মাসের জন্য অ্যাথলেটিকসের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। কিন্তু দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট এই নিষেধাজ্ঞা মানতেই পারছেন না।
জহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ব ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপের পর সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘বিদায়ই আমাদের ভাগ্য, কারণ আমাদের জন্য অনুশীলনের পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা ছিল না। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে অনুশীলন করেছি। এভাবে কি পদক জয়ের স্বপ্ন দেখা যায়?’
আরও পড়ুনরাষ্ট্রীয় সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ১৫ ঘণ্টা আগেতাঁর এমন বক্তব্যে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। এ ছাড়া ঈদের ছুটি শেষে ফেডারেশনের অনুমতি না নিয়ে বিকেএসপিতে অনুশীলন, ফেডারেশন জানতে চাইলেও সেখানে কার অধীনে অনুশীলন করছেন, তা না জানানো—এসবকেও শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে দেখছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।
একা অনুশীলন করে কী শৃঙ্খলা ভাঙলাম! আমি তো কিছু গোপন করিনি। ক্যাম্প ছেড়ে কোথাও ঘুরে বেড়াইনি।জহির রায়হান, অ্যাথলেটশৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছেন জহির.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ