রাজশাহীতে অপহৃত শিক্ষককে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
Published: 18th, April 2025 GMT
অপহরণের শিকার এক মাদরাসা শিক্ষককে রাজশাহী থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মধ্যরাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে মো. রিফাতুল ইসলাম (২৫) নামে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৫ এ তথ্য জানায়।
আরো পড়ুন:
শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
ঈদে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রবিউল ইসলাম (২৭), রুবেল চৌধুরী (২৭), নাজমুল হোসেন (৪২) ও নাহিদ মিয়াজ (৩৫)। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাড়ি।
র্যাব জানায়, গত ৫ এপ্রিল রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে কর্মস্থল হাজারিবাগে যাচ্ছিলেন রিফাতুল। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গত ৭ এপ্রিল রিফাতুলের পরিবারকে ফোন করে অপহরণকারীরা এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রিফাতুলের পরিবার বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের দফায় দফায় টাকা পাঠান। সর্বমোট দেড় লাখ টাকার বেশি পরিশোধ করেন তারা। এরপরও রিফাতুলকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার র্যাব-৪-এ অভিযোগ করে। গোয়েন্দা তদন্ত ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-৪ ও র্যাব-৫-এর যৌথ অভিযানে রিফাতুলকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র অপহরণ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব