নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী আয় মেলা
Published: 19th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় মেলা। আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার (২০ এপ্রিল) নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের সানাই পার্টি হলে এ মেলা চলবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের লা গুয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়ট হোটেলে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও শীর্ষ নির্বাহীরা অংশ নিয়েছেন। এ সময় তাঁরা বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি।
মেলার আয়োজকেরা জানান, বাংলাদেশে প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশগুলোর অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক সময়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কয়েক গুণ বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে চতুর্থবারের মতো নিউইয়র্কে রেমিট্যান্স মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান রোমো রউফ চৌধুরী, এক্সিম ব্যাংকে চেয়ারম্যান মো.
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক অ্যাট কোর্টল্যান্ডের অর্থনীতির অধ্যাপক বিরূপাক্ষ পাল এবং সভাপতিত্ব করেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএবির চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার দেশের উন্নয়নে বৈধপথে প্রবাসী আয় পাঠানোর গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ মেলার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠাতে উৎসাহিত হবেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা
মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।
এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।