ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ সভাপতি এবং ২০১৯-২০বর্ষের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নববর্ষের ২দিন পর শোভাযাত্রা, অংশ না নেওয়ায় খাবার বন্ধ করলেন প্রাধ্যক্ষ
কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ পদে সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল জলিল পাঠান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ২০২০-২১ বর্ষের মেহেদী হাসান শাহ মনোনীত হয়েছেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, টগর আহমেদ, জেসিয়া আক্তার তন্নি, মোছা সানজিদা আক্তার আঁখি, ফাহিম ফারদিন, মোছা.
নবমনোনীত কোষাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল জলিল পাঠান বলেন, “আমরা এ প্লাটফর্মে নতুন। পূর্ববর্তী কমিটির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই এবং সব ক্ষেত্রে কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই। এখানে যেমন সুষ্ঠু গণতন্ত্র এবং জবাবদিহিতা আছে, দেশের প্রতিটা সেক্টরে এমন সুষ্ঠু ধারার গণতন্ত্র এবং জবাবদিহিতা চালু হোক।”
নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ বলেন, “একাডেমিক কার্যক্রমের বাইরে বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক কাজের জন্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ। এতে করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা আরো উপকার পাবে।”
তানিম তানভীর
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব