ক্যাস্ট্রল পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ডগুলোর একটি। এই ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশের বাজারে তাদের এক্সক্লুসিভ আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে রক এনার্জি লিমিটেডকে নিয়োগ দিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে ক্যাস্ট্রলের পণ্য আরও বেশি সহজলভ্য হয়ে উঠবে।  

বাংলাদেশের বাজারে ক্যাস্ট্রলের উপস্থিতি ২০০১ সাল থেকে। এতগুলো বছরে ব্র্যান্ডটি গ্রাহকদের মনে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। রক এনার্জি-এর সঙ্গে এই মেলবন্ধনটিকে একটি জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা গণ্য করছেন। বাংলাদেশের একটি অগ্রগামী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশ রক এনার্জির বাংলাদেশের তেল এবং গ্যাসের ব্যবসাক্ষেত্রে প্রায় তিন দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। 

এ ব্যাপারে ক্যাস্ট্রল সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট কেদার লেলে বলেন, ‘রক এনার্জির সঙ্গে আমরা ক্যাস্ট্রলের ডিরেক্ট ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্র আরও বড় করতে চাই। এতে করে গ্রাহকদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অনেক বেশি বাড়বে। ক্যাস্ট্রল ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশে আরও বেশি বড় হয়ে উঠবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘এই পার্টনারশিপটি ২০২৫ সালে আমাদের আরও ভালো কাস্টমার সার্ভিস দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াবে। এছাড়া লোকাল মার্কেটিং-এর সুযোগটাও আরও বড় করে তুলবে বলে আমরা আশাবাদী।  

রক এনার্জি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তানজিম চৌধুরী বলেন, ‘ক্যাস্ট্রলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। এই ব্র্যান্ডটি পৃথিবীর অন্যতম বিশ্বস্ত লুব্রিক্যান্ট ব্র্যান্ড। এই সংযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের আরও প্রিমিয়াম কোয়ালিটির প্রোডাক্ট এনে দিতে পারব। এছাড়া এনার্জি ভ্যালু চেইনে আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।’ 

রক এনার্জি বাংলাদেশের রিটেইল আফটারমার্কেটে ক্যাস্ট্রলের ডিস্ট্রিবিউশন বাড়াবে। এছাড়া দেশ জুড়ে ক্যাস্ট্রল ব্র্যান্ডেড ওয়ার্কশপ গড়ে তুলবে। 

ক্যাস্ট্রল এবং রক এনার্জির এই মেলবন্ধন নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করবে। এছাড়া ক্যাস্ট্রলের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পণ্যগুলো এবার গ্রাহকদের কাছে আরও বেশি সহজলভ্য হয়ে উঠবে। বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র য ন ডট গ র হকদ র আম দ র আরও ব

এছাড়াও পড়ুন:

কারও ওপর আক্রমণ হলে যৌথভাবে জবাব দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরব

পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ