শেষ ভাষণে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে যা বলেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস
Published: 22nd, April 2025 GMT
পোপ ফ্রান্সিস মারা যাওয়ার আগে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দায় তাঁর শেষ বার্তায় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। ইস্টার সানডের ওই বার্তা উচ্চ স্বরে পড়েছিলেন তাঁর সহযোগী।
পোপ ফ্রান্সিস গতকাল সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় মারা গেছেন।
৮৮ বছর বয়সী পোপ চিকিৎসকদের নির্দেশে তার কাজের চাপ সীমিত রেখে ইস্টারের জন্য ভ্যাটিকানের প্রার্থনায় সভাপতিত্ব করেননি। তবে অনুষ্ঠানের শেষে ‘উরবি অ্যাট অরবি’ নামে পরিচিত বার্ষিক আশীর্বাদ এবং বার্তার জন্য উপস্থিত হন।
নিউমোনিয়ার জন্য পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার আগে পোপ ফ্রান্সিস গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সমালোচনা জোরদার করে তুলছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর এবং লজ্জাজনক।
ইস্টারের বার্তায় পোপ বলেন, গাজার পরিস্থিতি নাটকীয় ও শোচনীয়। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
পোপ তাঁর বার্তায় বলেন, ‘আমি সমস্ত ইসরায়েলি জনগণ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার প্রতি আমার একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমি যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কাছে আবেদন করছি, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুন, জিম্মিদের মুক্তি দিন এবং শান্তির ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা পোষণকারী ক্ষুধার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।’
গত সপ্তাহে হামাস আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পরিবর্তে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তি দাবি করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু শনিবার বলেছেন, তিনি হামাসের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে। এতে ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যার অধিকাংশ নারী ও শিশু।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র জন য ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব