বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) সদ্যপ্রয়াত চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর প্রায় ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার পাচ্ছেন তাঁর দু্ই সন্তান। ব্যাংকটির অন্যতম উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে ব্যাংকটির প্রায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার হিসেবে এসব শেয়ার এখন তাঁর দুই সন্তান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও মুনিজে মঞ্জুরের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হচ্ছে। আজ বুধবার এমটিবির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এমটিবি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি। তাই নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকটির উদ্যোক্তা–পরিচালকদের শেয়ার হস্তান্তর–সংক্রান্ত তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জ ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানাতে হয়। তারই অংশ হিসেবে ব্যাংকটির সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে থাকা শেয়ার হস্তান্তরের তথ্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শেয়ারধারীদের জানানো হয়।

এমটিবি জানিয়েছে, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে থাকা ব্যাংকটির মোট শেয়ার দুই সন্তানের মধ্যে হস্তান্তর করা হচ্ছে ৩ কোটি ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৩২১টি। বাকি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৬৩২টি শেয়ার হস্তান্তর নিষেধাজ্ঞা বা লকইনে থাকায় আপাতত সেগুলোর হস্তান্তর করা হচ্ছে না। হস্তান্তর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে এসব শেয়ারও উত্তরাধিকারদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে যেসব শেয়ার হস্তান্তর করা হচ্ছে, তা প্রয়াত সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও মেয়ে মুনিজে মঞ্জুরের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হবে। ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ দিন শেষে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১১ টাকা ৭০ পয়সা। সেই হিসাবে ৩ কোটি ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৩২১টি শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৩৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে প্রয়াত বাবার কাছ থেকে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও মুনিজে মঞ্জুর উভয়ই ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার সমমূল্যের শেয়ার পাচ্ছেন।

এমটিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ব্যাংকটির একজন প্লেসমেন্ট শেয়ারধারী। আর মুনিজে মঞ্জুর সাবেক পরিচালক ও উদ্যোক্তা শেয়ারধারী।

গত ১২ মার্চ সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ( (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট এই শিল্পোদ্যোক্তা। এ ছাড়া তিনি অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হিসেবে তাঁর সম্পদ ও শেয়ার সন্তানদের মধ্যে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমট ব

এছাড়াও পড়ুন:

হাদিকে গুলির ঘটনা আ.লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ: নাহিদ

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

দুর্নীতি-সন্ত্রাসের অভিযোগ পেলে প্রার্থিতা বাতিল: নাহিদ 

নাহিদ ইসলাম বলেন, “হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনবিরোধী ছকের অংশ।”

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে নরমালাইজ করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা দেখছি।”

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সব জায়গায় আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা, প্রশাসনিকভাবে প্রতিহত করা এবং ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার কথা বলেছি।”

পতিতরা নির্বাচন ঠেকাতে চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ ফেরাতে হবে।”

নাহিদ বলেন, “আমরা সর্বাত্মকভাবে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখব বলেছি। হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।”

এর আগে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৈঠকে তিনটি দলের দুজন করে প্রতিনিধি অংশ নেন।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন-দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন-দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

এছাড়া এনসিপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন- দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ