১. পেশার নাম: ডাটা এন্ট্রি ক্লার্ক

যে কারণে বিলুপ্ত হবে যাবে: অটোমেশন সফটওয়্যারের কারণে প্রচুর ডেটা খুবই অল্প সময়ে সঠিকভাবে এন্ট্রি করা সম্ভব।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন যে পেশার গুরুত্ব বাড়বে: ডাটা অ্যানালিস্ট, এআই/অটোমেশন স্পেশালিস্ট

২. পেশার নাম: টেলিমার্কেটার

যে কারণে বিলুপ্ত হবে যাবে: এআইয়ের চ্যাটবটই হাতের মুঠোয় ন্যূনতম সময়ে নিঁখুতভাবে টেলিমার্কেটারদের কাজ করে দেবে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন যে পেশার গুরুত্ব বাড়বে: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং অফিসার ও কাস্টমার সাকসেস ম্যানেজারদের কদর থাকবে।

আরও পড়ুনডিগ্রির আগেই চাকরি পেয়েছিলেন, এখন কাজ করছেন ইন্দোনেশিয়ায়২০ এপ্রিল ২০২৫৩.

পেশার নাম: রিটেইল ক্যাশিয়ার

যে কারণে বিলুপ্ত হবে যাবে: সেলফ চেক-আউট সিস্টেমের কারণেই মূলত বিলুপ্ত হবে এই পেশা। আপনি যে পণ্য বা সেবা চান, তা নিজেই সিস্টেমে টাকা দিয়ে নিতে পারবেন। ক্যাশিয়ারের প্রয়োজন হবে না। যেমন অনলাইন সিস্টেমে পেমেন্ট করে কেনাকাটা করা বা মেট্রোরেলে অটোমেটেড মেশিনে টাকা দিয়ে কার্ড কিনে ভ্রমণ করা।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন যে পেশার গুরুত্ব বাড়বে: ই-কমার্স স্পেশালিস্ট, লজিস্টিক অ্যান্ড ইনইভেনটরি ম্যানেজার।

৪. পেশার নাম: ব্যাংক টেলার

যে কারণে বিলুপ্ত হবে যাবে: অনলাইন ব্যাংকিং ও অ্যাডভান্সড এটিএম সার্ভিসের কারণে সশরীর ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে কাজ করার প্রয়োজন কমে যাবে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন যে পেশার গুরুত্ব বাড়বে: ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজার, ফিনটেক স্পেশালিস্ট।

আরও পড়ুন‘অনেক চাকরি নিয়ে বসে আছি, কিন্তু লোক পাচ্ছি না’১৯ জানুয়ারি ২০২৫৫. পেশার নাম: ট্রাভেল এজেন্ট

যে কারণে বিলুপ্ত হবে যাবে: অনলাইন ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ও এআই পাওয়ার্ড ট্রাভেল প্লানিং ট্যুর থাকায় ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করে ভ্রমণের পরিকল্পনা সাজানোর প্রবণতা কমে যাবে অনেকটাই।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন যে পেশার গুরুত্ব বাড়বে: ট্রাভেল কনসালট্যান্ট ফর নিশ মার্কেট (লাক্সারি ট্রাভেল, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, ইকো-ফ্রেন্ডলি ট্রাভেল—এসব ক্ষেত্রে কনসালট্যান্সির প্রয়োজন থাকবে), কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইনফ্লুয়েন্সার।

৬. পেশার নাম: অ্যাসেম্বলি লাইন ওয়ার্কার

যে কারণে বিলুপ্ত হবে যাবে: রোবোটিকস ও অটোমেশনের কারণে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন যে পেশার গুরুত্ব বাড়বে: রোবোটিকস টেকনিশিয়ান, কোয়ালিটি কন্ট্রোল স্পেশালিস্ট।

৭. পেশার নাম: পোস্টাল সার্ভিস ওয়ার্কার

যে কারণে বিলুপ্ত হবে যাবে: ডিজিটাল যোগাযোগ ও অনলাইন বিল–ব্যবস্থার কারণে ইতিমধ্যে পোস্ট অফিসের কর্মব্যস্ততা কমে গেছে অনেকটাই।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন যে পেশার গুরুত্ব বাড়বে: লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন স্পেশালিস্ট, কুরিয়ার অ্যান্ড ডেলিভারি ম্যানেজার।

৮. পেশার নাম: অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও অডিটর

যে কারণে বিলুপ্ত হবে যাবে: এআইয়ের অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যারই এই পেশাদারদের কাজ করে দেবে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন যে পেশার গুরুত্ব বাড়বে: ফরেনসিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট (ফ্রড বা জালিয়াতির মতো আর্থিক বিষয়আশয় দেখভাল করার জন্য), ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজিস্ট।

সূত্র: লিংকড ইন

আরও পড়ুনএআই আপনার কাজ কেড়ে নিতে পারবে না, যদি...০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ল প ত হব ক জ কর নত ন য

এছাড়াও পড়ুন:

বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দাবি করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে নীতিমালা ২০২৪ এর আওতাভুক্ত জেনারেল শিক্ষকদের নিজ বিষয় ও পদের অনুকূলে যেকোনো অধিদপ্তরে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে এ বদলির দাবি জানান তারা 

বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৮ হাজার ৩২২টি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ৫১৬ টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে অন্তত ৪ হাজার।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলি নীতিমালা ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বদলি নীতিমালার মাধ্যমে জেনেছি, স্ব স্ব অধিদপ্তর স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু আমাদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল অধিদপ্তর নির্বিশেষে শূন্যপদে বদলি চালু করা। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরের সাধারণ শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য (ইনডেক্স) বদলি সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করে সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদ/সমস্কেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেকোনো অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ দেওয়া অতীব জরুরি।

তারা বলেন, প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাদরাসা ও কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের শুধু নিজস্ব অধিদপ্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলি করলে জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে চরম বৈষম্য করা হবে। কারণ মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের (মাত্র ১২ হাজারের মত) সংখ্যা স্কুল-কলেজের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ। মাদরাসা/কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে এমন বৈষম্য বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকারের নীতির পরিপন্থি।

বক্তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদের বদলি নীতিমালা-২০২৪ সংশোধন করে সব বৈষম্য দূর করে মাদরাসা ও কারিগরি থেকে স্কুল-কলেজে এবং স্কুল-কলেজ থেকে মাদরাসা ও কারিগরিতে যাওয়ার জন্য একই সফটওয়্যারের অথবা ইনডেক্স ট্রান্সফারিং মাধ্যমে দ্রুত বদলির ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাচ্ছি।

মানবন্ধনে সংগঠনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক সাকিবুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মো. শরিফুল, মো. আজাদ, প্রভাষক হুসাইন আলী, মো. আজিজুল হক প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/মেহেদী 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের সময় বাড়লো
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি শুরু অক্টোবরে
  • বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের