সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত হয়েছে টাস্কফোর্স। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় উপ-সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্স ও শ্বেতপত্র কমিটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ। 

অফিস আদেশে বলা হয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে পত্র পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। আইসিটি খাতে দুর্নীতি, অপব্যবস্থাপনার তদন্ত এবং আইসিটি শ্বেতপত্র প্রকাশের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হলো। 

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেস সেমিকন্ডাক্টর ও আইওটি বিশেষজ্ঞ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর মুহাম্মাদ মুস্তাফা হোসেন, আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আফজাল জামি সৈয়দ আলী, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মাহমুদ সালাম মারুফ, দৈনিক আজকের বাংলার পরিকল্পনা সম্পাদক মো.

শরিয়ত উল্যাহ। এছাড়া সমন্বয়কারী হিসেবে থাকছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আসিফ শাহরিয়ার সুস্মিত। 

টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়, গঠিত টাস্কফোর্স আইসিটি খাতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার তদন্ত ও গবেষণা করে ‘আইসিটি শ্বেতপত্র’ প্রণয়ন করবে; শ্বেতপত্র প্রণয়নের স্বার্থে আইসিটি বিভাগের বিগত সরকারের সময়ে সম্পাদিত সকল ধরনের চুক্তি ও প্রকল্পের ডিপিপি, সকল অডিট রিপোর্ট ও তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা; ‘আইসিটি শ্বেতপত্র টাস্কফোর্স’ সকল প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ এবং বিস্তারিত প্রতিবেদন দুই মাসের মধ্যে দাখিল; টাস্কফোর্সের সদস্যরা বিধি মোতাবেক সম্মানী বা সিটিং অ্যালাউন্স পাবেন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ টাস্কফোর্সকে লজিস্টিকস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। বিভাগের উপ-সচিব মো. আবু নাছের টাস্কফোর্সকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। 

টাস্কফোর্স প্রধান অধ্যাপক এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ একজন বাংলাদেশি উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে অধ্যাপনা জীবন শুরু করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করে ২০০৬ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে মালয়েশিয়ার মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দারিদ্র্য ও উন্নয়ন অধ্যয়ন কেন্দ্রের অধ্যাপক এবং উপ-পরিচালক হিসেবে এবং পরে মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসরিয়াল ফেলো হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস ট খ ত শ ব তপত র তদন ত আইস ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ