ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সবাই উদ্‌গ্রীব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি মনে করেন, মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এর আগে বাংলাদেশ জন অধিকার পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৈঠকে বাংলাদেশ জন অধিকার পার্টির সভাপতি ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন কারা গণতন্ত্র চায় আর কারা গণতন্ত্র চায় না, এ বিষয়গুলোতে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিই আমরা। বাংলাদেশের মানুষ বোকা না। তারা তো সবকিছু ফলো করছে।’

এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বাচন হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকারের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। এটা একটা জনগণের মালিকানার বিষয়। আর সংস্কার হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের পরও আরও বহু সংস্কার হতে থাকবে। আগামী বছরগুলোতেও সংস্কার হতে থাকবে।

আমীর খসরু বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যে বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেটা জাতির সামনে প্রকাশ করলেই তো হয়ে যায়। প্রকাশ করে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করতে অসুবিধা কোথায়? ড.

ইউনূসও বলেছেন ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কার হবে। কোথায় ঐকমত্য হয়েছে আমাদের বলেন না! আমরা তো সবাই জমা দিয়েছি। প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সুতরাং কোথায় ঐকমত্য হয়েছে তা জাতিকে জানিয়ে দিয়ে সই করে নির্বাচনের দিকে আমরা এগিয়ে যাই। পরিষ্কার কথা।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ভোটের মাধ্যমে তো ক্ষমতায় যেতে হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবে তারা তো এটাই মনে করবে, তাই না? ভোট হবে, ক্ষমতায় যাবে। জনগণের নির্বাচিত সদস্যরাই নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাবে, ক্ষমতায় যাবে। এটাই তো গণতন্ত্র। এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় তো কোনো কারণ দেখছি না।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স থ য় গণত ন ত র ক গণতন ত র ঐকমত য কম ট র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম আলোরও একটা ঐকমত্য সনদ আছে, আর তা আছে আমাদের হৃদয়ে
  • রাজনৈতিক দলগুলোকে ৭ দিনের সময় দিলে সরকার
  • গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ
  • দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
  • ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
  • গণতন্ত্রের পথে সংকট দেখছেন তারেক
  • এমন তো হবার কথা ছিল না: তারেক রহমান
  • ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, তারা নিজেদের কাজে ফিরে যান: খসরু
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি