ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সবাই উদ্গ্রীব: আমীর খসরু
Published: 24th, April 2025 GMT
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সবাই উদ্গ্রীব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি মনে করেন, মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে বাংলাদেশ জন অধিকার পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠকে বাংলাদেশ জন অধিকার পার্টির সভাপতি ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন কারা গণতন্ত্র চায় আর কারা গণতন্ত্র চায় না, এ বিষয়গুলোতে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিই আমরা। বাংলাদেশের মানুষ বোকা না। তারা তো সবকিছু ফলো করছে।’
এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বাচন হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকারের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। এটা একটা জনগণের মালিকানার বিষয়। আর সংস্কার হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের পরও আরও বহু সংস্কার হতে থাকবে। আগামী বছরগুলোতেও সংস্কার হতে থাকবে।
আমীর খসরু বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যে বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেটা জাতির সামনে প্রকাশ করলেই তো হয়ে যায়। প্রকাশ করে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করতে অসুবিধা কোথায়? ড.
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ভোটের মাধ্যমে তো ক্ষমতায় যেতে হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবে তারা তো এটাই মনে করবে, তাই না? ভোট হবে, ক্ষমতায় যাবে। জনগণের নির্বাচিত সদস্যরাই নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাবে, ক্ষমতায় যাবে। এটাই তো গণতন্ত্র। এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় তো কোনো কারণ দেখছি না।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স থ য় গণত ন ত র ক গণতন ত র ঐকমত য কম ট র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সিপিবি
মিয়ানমারের জন্য তথাকথিত মানবিক করিডর দেওয়ার খবরে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সিপিবির নেতারা বলেন, এ ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বিদ্যমান সংবিধান লঙ্ঘন করে এই ভয়ংকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলবে। এই করিডর দেওয়া হলে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এমনিতেই মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের বিজিবির নিয়মিত সংঘর্ষ চলছে। এই করিডর দেওয়া হলে মিয়ানমার জান্তা বাংলাদেশের নিরাপত্তাকেও নানা অজুহাতে বিপন্ন করে তুলবে।
সিপিবি নেতারা আরও বলেন, হঠাৎ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর এই উৎসাহ সন্দেহজনক। এটি সাম্রাজ্যবাদের ভূরাজনৈতিক চক্রান্ত থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। কারণ, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো মানবিক করিডরের জন্য বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার উপকূলের অনেক জায়গাই ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কথা বিবেচনায় না রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যদি এ ধরনের দেশবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নেয়, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতা তাকে প্রতিহত করবে।
বিবৃতিতে সিপিবির নেতারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এবং ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় আধিপত্যবাদী শক্তিকে যেকোনো সুবিধা দেওয়ার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ সচেতনভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল সংগঠন ও ব্যক্তিদের এক হতে হবে। তাঁরা বলেন, এটা চব্বিশের জুলাইয়ে শত শহীদের স্বৈরাচারবিরোধী গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে ভন্ডুল করে দেবে। তাই এই ষড়যন্ত্রকে দেশের গণতন্ত্রের লড়াকু জনগণ নিয়ে প্রতিহত করা হবে।