প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দু’জন আটক
Published: 26th, April 2025 GMT
কুমিল্লার লালমাইয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক করার অভিযোগে এনামুল হোসেন বাচ্চু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দু’জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমাই থানার ওসি শাহ আলম।
আটক জাহাঙ্গীর হোসেন পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক। এনামুল হোসেন বাচ্চু পেরুল উত্তর ইউনিয়নের পাড়া দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেরুল উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, তাঁর মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর জাহাঙ্গীর ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে ডাক দিলে মেয়ে বের হয়ে যায়। জাহাঙ্গীর তাকে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ে ঘরে এসে ঘটনা বললে গ্রামের মাতবরদের বিষয়টি জানান তিনি। তাঁর ভাষ্য, গত শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে উৎসবপদুয়ার মাতবর জয়নাল আবেদীন ও পাড়া দৌলতপুরের মাতবর এনামুল হোসেন বাচ্চু গ্রামের চায়ের দোকানে বসে জাহাঙ্গীরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও কান ধরে ওঠবস করান। সালিশে রায় কার্যকরের ৫০০০ টাকা তাৎক্ষণিক জয়নালের কাছে জমা দেওয়া হয়।
লালমাই থানার ওসি শাহ আলম সমকালকে জানান, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক করায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রামের মাতবর এনামুল হোসেন বাচ্চুকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর রোববার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ