Prothomalo:
2025-07-30@16:00:17 GMT

সবাইকে ‘বস’ বানাবে এআই

Published: 26th, April 2025 GMT

যাঁরা কর্মীদের বস বা প্রধান হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখেন, তাঁদের জন্য সুখবর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘ভবিষ্যতে আমরা সবাই বস হতে পারি। আমাদের অধীনে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই কর্মী বাহিনী।’

মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে নতুন ধরনের ব্যবসার উত্থানের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। একে বলা হচ্ছে ‘ফ্রন্টায়ার ফার্ম’। এর আওতায় একজন কর্মী স্বয়ংক্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমান এজেন্ট বা প্রতিনিধিকে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেবেন। মাইক্রোসফটের মতে, প্রত্যেকে এআই প্রতিনিধির বস হয়ে যাবেন।

এ সপ্তাহে মাইক্রোসফটের নির্বাহী জ্যারেড স্পাতারো এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, ‘এআই প্রতিনিধিদের কর্মী বাহিনীতে যোগদানের হার ক্রমবর্ধমান। এর সঙ্গে সঙ্গে আমরা এসব প্রতিনিধির বসের উত্থান দেখতে পাব। এই বস এমন একজন হবেন, যিনি এআই প্রতিনিধি তৈরি করবেন, তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি এগুলো পরিচালনা করবেন। তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআইয়ের প্রভাব বাড়াবেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে নিজের ক্যারিয়ারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবেন।’

মাইক্রোসফটের নির্বাহী আরও বলেন, ‘বোর্ডরুম থেকে শুরু করে সম্মুখসারির কর্মী পর্যন্ত প্রত্যেক কর্মীকে এআই প্রতিনিধি-চালিত স্টার্টআপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) মতো চিন্তা করতে হবে।’

মাইক্রোসফট তাদের বার্ষিক ওয়ার্ক ট্রেন্ড ইনডেক্স প্রতিবেদনে বলেছে, এআই প্রতিনিধি চালিত কোম্পানিগুলো দ্রুত বড় হয়ে উঠবে, তৎপরতার সঙ্গে কাজের পাশাপাশি এবং দ্রুত প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন বাড়ায়।

মাইক্রোসফট বলেছে, জ্ঞানী থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ এবং আইনজীবী পর্যন্ত বিভিন্ন পেশার লোকজন সাধারণত জ্ঞান খাটানোর কাজ করে থাকেন। এই জ্ঞান খাটানোর কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব সফটওয়্যার উন্নয়নের মতোই হবে। কোডিং সহায়তা থেকে শুরু করে প্রতিনিধিদের কাজ সম্পাদনের দিকে বিবর্তিত হবে।

সরবরাহ শৃঙ্খলে একজন কর্মীর ভূমিকার উদাহরণ ব্যবহার করে মাইক্রোসফট বলেছে, এই প্রতিনিধিরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ধাপের কাজ পরিচালনা করতে পারে। আর কর্মীরা এ সিস্টেমকে পরিচালনা করেন এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখেন।

মাইক্রোসফট স্বায়ত্তশাসিত এআই এজেন্ট অথবা এমন সরঞ্জামগুলোর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে এআই বাস্তবায়নের ওপর জোর দিচ্ছে, যা মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ সম্পাদন করতে পারে। গত বছর মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, তাদের কোপাইলট স্টুডিও যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা সম্ভাব্য এআই প্রতিনিধি পাবেন। এর মধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাকেনসিও রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
  • গ্যাস অপচয়ে বছরে ক্ষতি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি: পেট্রোবাংলা
  • পাবনায় আগাম পাটের বাজার চড়া, বেশি দাম পেয়ে কৃষক খুশি
  • পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
  • নবায়নযোগ্য জ্বালানির যুগ কড়া নাড়ছে দরজায়
  • ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধে জয় হচ্ছে বোয়িংয়ের
  • বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি অসম্ভব উদ্বেগের জায়গায় যাচ্ছে