ডিপিএলে এবার বড় সাজা পেলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। তাকে ডিপিএলে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
এর আগে আচরণবিধি ভঙ্গ করে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হৃদয়। সঙ্গে অর্থ দ্বন্দ্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। এর মধ্যে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করেছেন তিনি। অন্য ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এক বছর স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যেই নতুন করে আচরণবিধি ভেঙে বড় সাজা পেলেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
শনিবার ডিপিএলের সুপার লিগে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ৩৭ রানে ক্যাচ আউট হন। তারপরও ক্রিজ না ছেড়ে দাড়িয়ে থাকেন তিনি। যা আইসিসি ও বিসিবির আচরণবিধির পরিপন্থী। এই ঘটনায় হৃদয়ের বিরুদ্ধে মাঠে থাকা আম্পায়ার শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনেন। কিন্তু হৃদয় এই অভিযোগ মেনে নিতে অস্বীকার করেন এবং শুনানিতে অংশ নেওয়ার কথা জানান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শুনানিতে হাজির হননি তিনি।
এই ঘটনায় ম্যাচ রেফারি আক্তার আহমেদ বিসিবির আচরণবিধির ৫.
হৃদয় এর আগে ডিপিএলে আচরণবিধি ভঙ্গ করে সাতটি ডি মেরিট পেয়েছেন। সর্বশেষ ডি মেরিট পয়েন্ট দিয়ে এক বছরের মধ্যে আটটি ডি মেরিট পেলেন তিনি। যার কারণে তাকে এখন চার ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকতে হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে কারও দ্বিমত নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়টি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠেছিল। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস লাগবে, এ ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই।
সোমবার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বহলবাড়ি এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ৫১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্পর্কে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বরাদ্দ ৫০০ কোটি বেশি নাকি কম, কাজ শুরু হলে আরও পাওয়া যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই। চলনবিল অধ্যুষিত বড়াল নদী এবং গোচারণ ভূমির ক্ষতি না করে পরিবেশ ঠিক রেখে ক্যাম্পাস নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
এর আগে ঢাকা থেকে সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এ পৌঁছান পরিবেশ উপদেষ্টা। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ জমি এবং এর আশপাশের অঞ্চল ঘুরে দেখেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্রস্তাবিত জায়গায় বৃক্ষরোপণ করেন। বৃক্ষরোপণ শেষে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।