আরও নতুন মামলায় গ্রেপ্তার তুরিন আফরোজ, শাহে আলমসহ ৫ জন
Published: 28th, April 2025 GMT
পৃথক পৃথক মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মশিউর রহমান ও মোল্লা নজরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেত্রী খাদিজা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ধানমন্ডি থানার মামলায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর ও মোল্লা নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ছাড়া মিরপুর থানার একটি মামলায় সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ধানমন্ডি থানার আরেকটি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ ও খাদিজা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
৮ এপ্রিল তুরিন আফরোজকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৭ এপ্রিল শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। অন্যরাও গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ন আফর জ
এছাড়াও পড়ুন:
৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুল ও সাইফুল আলমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার মো. আমিনুল ইসলাম, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন।
দুদকের মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের প্রক্রিয়া ছাড়াই ভুয়া কোম্পানি ও জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বাই-মুরাবাহাভিত্তিক বিনিয়োগের নামে গুলশান সার্কেল-১ শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করেন। এরপর অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির সদস্য, নাবিল ও এস আলম গ্রুপের মালিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাকি আসামিরা হলেন নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামের মামা ও গ্রুপের রাজশাহীর মার্কেট মাস্টার এনালাইজার মো. শরিফুল ইসলাম, নওগাঁর মার্কেট মাস্টার এনালাইজার ও গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম, ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের ইভিপি মো. মোজাহিদুল ইসলাম, নিউ মার্কেট শাখার এভিপি মো. কাইয়ুম সিকদার, মাধবদী শাখার এভিপি মো. জহুরুল হক, গুলশান সার্কেল-১ শাখার এফএভিপি মো. আবদুল কাইয়ুম, ডিএমডি ও এসআইডব্লিউ প্রধান মাহমুদুর রহমান, ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের সাবেক এসভিপি মো. নাজমুল হুদা সিরাজী, শ্যামলী শাখার এফএভিপি মো. আলমগীর হোসেন, এভিপি মো. কামরুজ্জামান, ধোলাইখাল শাখার ভিপি মো. মমতাজউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ডিএমডি ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ্ উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক-১ মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডিএমডি মো. সিদ্দিকুর রহমান, এসইভিপি মোহাম্মদ শাব্বির, এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সেলিম উদ্দিন, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আবু আসাদ, তানভীর আহম্মদ, মো. কামরুল হাসান, মো. সালেহ জহুর, মো. ফসিউল আলম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুনিরুল মওলা, কোম্পানি সচিব ও এএমডি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ্, নাবিল ট্রেডিংয়ের মালিক ইসরাত জাহান, এস আলম ভিজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল আলম, এস আলম ভিজিটেবল অয়েলের পরিচালক ফারজানা পারভীন, এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের এমডি মিশকাত আহমেদ, এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের পরিচালক শাহানা ফেরদৌস।