মহাবিশ্বের বৃহত্তম কাঠামো আসলে কত বড়
Published: 29th, April 2025 GMT
হারকিউলিস-করোনা বোরেলিস গ্রেট ওয়াল মূলত বিভিন্ন গ্যালাক্সির বিশাল জালিকা, যা মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঠামো। এই কাঠামোর আকার এতই বিশাল যে সেটির পুরো অংশ কোনো মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। এত দিন ধারণা করা হতো যে হারকিউলিস-করোনা বোরেলিস গ্রেট ওয়াল এক হাজার কোটি আলোকবর্ষ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। তবে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, হারকিউলিস-করোনা বোরেলিস গ্রেট ওয়াল এক হাজার কোটি নয়, দেড় হাজার কোটি আলোকবর্ষ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হতে পারে।
সুপারনোভা বিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্ট গামা-রে বার্স্ট বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা গ্রেট ওয়ালের নতুন দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষণার তথ্যমতে, হারকিউলিস-করোনা বোরেলিস গ্রেট ওয়াল ক্লাস্টারটি পূর্বের ধারণার চেয়ে আকারে বেশ বড়। গবেষকেরা রেডশিফটসহ ৫৪২টি গামা-রে বার্স্ট পরীক্ষা করেছেন, যা প্রায় দেড় হাজার কোটি আলোকবর্ষজুড়ে বিস্তৃত।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও হাঙ্গেরির একদল বিজ্ঞানী হারকিউলিস-করোনা বোরেলিস গ্রেট ওয়াল আবিষ্কার করেন। এই বিশাল কাঠামোর গঠন ও উৎপত্তির তথ্য এখনো রহস্যে ঘেরা। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এত বড় কাঠামো মহাবিশ্বের বর্তমান মডেল অনুসারে অল্প সময়ে গঠিত হওয়া কঠিন। আর তাই হারকিউলিস-করোনা বোরেলিস গ্রেট ওয়াল মহাবিশ্বের বৃহৎ আকারের কাঠামো ও গ্যালাক্সির বিবর্তন সম্পর্কে প্রচলিত জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজ্ঞানীরা কুইপু নামে আরেকটি বৃহৎ কাঠামো আবিষ্কারের দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি, এই কাঠামো ১ হাজার ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চেয়ে ১৩ হাজার গুণ বড় এই কাঠামো।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুতে ঈদের ছুটির শেষ ৪৮ ঘণ্টায় ৭ কোটি টাকার টোল আদায়
ঈদের ছুটি শেষে গত দুই দিনে সড়কে কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। বেড়ে যায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারও। বেড়েছে টোল আদায়ও। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭৭৭টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫০ টাকা।
যমুনা সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৬৬টি যানবাহন রয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ৩৩ হাজার ৩২৯টি যানবাহন পার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের দিকে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন পার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী যানবাহন ছিল ৩০ হাজার ৮১৭টি। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানান, স্বাভাবিক সময়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন প্রতিদিন পারাপার হয়। এবার ঈদের ছুটির শুরুতে এবং শেষে যানবাহন পারাপার কয়েক গুণ বেড়ে যায়।