আগারগাঁওয়ে সেনা অভিযানে অপহৃত ৪ কিশোর উদ্ধার
Published: 30th, April 2025 GMT
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আগারগাঁও এক নারী তার ছেলেকে অপহরণ করার অভিযোগ নিয়ে টহলরত সেনাবাহিনীর কাছে হাজির হন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই নারীর ছেলে এবং আরও তিন কিশোরসহ মোট চারজনকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাদের মুক্তির জন্য দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সেনা টহল দল এই ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। টহল দল অপহৃতদের পরিবারকে কৌশলে অপহরণকারীদের সঙ্গে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে সময়ক্ষেপণ করে যেতে পরামর্শ দেন, যাতে তাদেরকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা যায়। এরই মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
অতঃপর অপহরণকারীরা মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনার জন্য বাইরে আসে। কিন্তু সেনা ও গোয়েন্দার উপস্থিতি আঁচ করতে পারলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর সেনা টহল দল আগারগাঁওয়ের আমতলী বস্তি এলাকা থেকে অপহৃত চার কিশোরকে নিরাপদে উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত কিশোররা হলো- আমিরুল ইসলামের ছেলে আলভী রহমান (১৫), মো.
বুধবার দুপুরে সেনাবাহিনীর ৪৬ বিগ্রেডের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপদে উদ্ধার শেষে কিশোরদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে এবং সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক ও সফল অভিযান এলাকাবাসীর প্রশংসা অর্জন করে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য শেরেবাংলা নগর থানার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অপহৃত কিশোরদের সুস্থভাবে উদ্ধার করা গেছে, এটা আমাদের প্রাথমিক সাফল্য। এখন আমরা অপহরণকারীদের আটক করার জন্য অভিযান পরিচালনা করব।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উদ ধ র অপহরণ অপহরণক র র জন য অপহ ত
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।