গ্যাস খাতের পুরো বকেয়া শোধ করেছে পেট্রোবাংলা
Published: 30th, April 2025 GMT
বকেয়া বিলের চাপে তিন বছর ধরে ভুগছে দেশের গ্যাস খাত। ডলার–সংকটে নিয়মিত বিল পরিশোধ করতে পারছিল না বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এতে চাপ তৈরি করছিল সরবরাহকারীরা। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির খরচও বাড়ছিল। অবশেষে গ্যাস খাতের সব বকেয়া শোধ করেছে পেট্রোবাংলা।
আজ বুধবার পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বকেয়া শোধ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই তারা এটি শোধ করে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় বকেয়া ছিল ৭৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৭০২ কোটি টাকা।
পেট্রোবাংলা বলছে, নিয়মিত বিল পরিশোধ করে বকেয়া শোধে ভূমিকা রেখেছে গ্যাস খাতের গ্রাহকেরা। বিদ্যুৎ ও সার কারখানা খাত থেকে বকেয়াসহ বর্ধিত বিল আদায় বেড়েছে। ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ানোয় বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে পেট্রোবাংলাকে। সরকারের নেওয়া এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (আইওসি), দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি ও খোলাবাজার থেকে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহকারী, দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্সের (আইটিএফসি) ঋণের সুদসহ দেনা পরিশোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বকেয়া শোধ করার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, জ্বালানি খাত এবং পেট্রোবাংলা বেশ কিছু সুবিধা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এর মধ্যে দেশের ক্রেডিট রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। খোলাবাজারের মাধ্যমে এলএনজি সরবরাহকারীদের পেট্রোবাংলার প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে এবং খরচ কমবে। বিলম্ব সুদ পরিশোধ করার ঝামেলা থাকছে না। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৫৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা) জরিমানা পরিশোধ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র শ ধ কর র হক র আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম
ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।