অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে গোয়ালন্দে মানববন্ধন, ইউএনওর অপসারণ দাবি
Published: 2nd, May 2025 GMT
পদ্মা নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, মাদক ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে উপজেলাবাসী ব্যানারে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে প্রশাসনের ব্যর্থতার দায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বিএনপির মতো বড় দল নিয়ে বিদ্রূপ করায় গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মো.
উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইয়ুব আলী খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে পৌর বিএনপির সভাপতি কাসেম মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বিএনপি নেতা খন্দকার আবদুল মুহিত, পৌর বিএনপির সহসভাপতি জিয়াউল হুদা উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল সরদার, দপ্তর সম্পাদক জিলাল প্রামাণিক, দেবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসলাম মণ্ডল, উজানচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন মৃধা, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মনিরুজ্জামান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সবুজ সরদার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুধীর কুমার বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাসেম মণ্ডল বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির লোকজন নিজেদের বিএনপির লোকজন দাবি করে চাঁদাবাজি করছেন। তাঁরা এখন লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছেন। অবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বিক্রি বা চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইয়ুব আলী খান বলেন, ‘বিএনপির মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মো. নিজাম ‘বারো নাপিতের পার্টি-বিএনপি’ বলে বিদ্রূপ করে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আজকের সভা থেকে শেখ নিজামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন এলাকায় অনেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন, চাঁদাবাজি করছেন। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কখনো এসব সম্ভব নয়। তাই ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাঁরা ইউএনওকে সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।
গোয়ালন্দের ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার কোথাও কোনো বালুমহাল নেই। পদ্মা নদী বা অন্য কোথাও থেকে তিনি মাটি বা বালু কাটতে কাউকে অনুমতি দেননি। এ বিষয়ে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স র ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।
বুধবার তিন শতাধিক কিন্ডারকাগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা, সরকারি ও বেসরকারি সকল শিক্ষার্থীর অধিকার এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধন পূর্বক সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ উপজেলা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা পরিবারের সমন্বয়ক মনিরুল হক মনির।
সভায় বক্তব্য রাখেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা পরিবারের কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন ভুঁইয়া, এম এ মোমেন, তাইজউদ্দিন শিকদার, আব্দুল কাদির সুমন, মেহেদী হাছান, এম এ হান্নান সবুজ, জান্নাতুল ফেরদৌস, সোহেল রানা, ফকরুল আলম সবুজ, ফিরোজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শফিকুর রহমান, মজিবুর রহমান ও এনামুল শিকদার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সরকার পরিচালিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সমান সুযোগ না হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বাড়বে। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার।
তা সব ধরণের শিক্ষার্থীর জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। এক দেশ, একই পাঠ্যবই, একই সিলেবাস, একই সরকার তবে কেন প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বৈষম্য থাকবে। প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি বিভাজন করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে।
এ বৈষম্য অবিলম্বে দূর করতে হবে। অন্যথায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের সমন্বয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
পরে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।