বয়স মাত্র ১৭। তবুও পায়ে যেন জাদু, চোখে আগুন, আর মনে স্বপ্নের সমুদ্র। এই বয়সেই ফুটবল বিশ্বে আলোড়ন তুলেছেন লামিনে ইয়ামাল। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে এক অনবদ্য পারফরম্যান্সে ভাসিয়ে নিয়েছেন বার্সেলোনাকে। কিন্তু নতুন কোচ হানসি ফ্লিক জানিয়ে দিলেন—শুধু প্রতিভা নয়, ইতিহাস গড়তে হলে চাই কঠিন পরিশ্রম, চাই মেসি-রোনালদোর মতো আত্মনিবেদন।

গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোলটি করেন ইয়ামাল। ৩-৩ গোলে ড্র হওয়া সেই ম্যাচে যেন বার্সার হয়ে আলো জ্বালিয়েছিলেন একাই। শুধু গোল নয়, প্রতিটি স্পর্শে ছিল আত্মবিশ্বাস, ছিল ভবিষ্যতের ইশারা।

ইন্টার কোচ সিমোনে ইনজাঘি প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেছিলেন, “এমন প্রতিভা ৫০ বছরে একবার জন্ম নেয়।” আর বার্সা কোচ ফ্লিক তো দ্বিধাহীনভাবে বলেছেন, “ও এক কথায় জিনিয়াস।”

আরো পড়ুন:

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

বার্সার বিপক্ষে ফাইনালের আগে রিয়ালের শঙ্কা সাম্প্রতিক ফর্ম

তবুও ফুটবল মাঠে স্বপ্ন সত্যি করতে হলে প্রতিভার সঙ্গে চাই লোহা গলানো পরিশ্রম। এই বার্তাই শুক্রবার (০২ মে) সংবাদ সম্মেলনে দেন ফ্লিক, “ও জানে আমি ওর কাছে কী চাই। একটি ম্যাচ ভালো খেললেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করতে হয়। উন্নতির তো কোনো শেষ নেই।”

ফ্লিক আরও যোগ করেন, “শুধু প্রতিভা থাকলেই কেউ রোনালদো বা মেসি হতে পারে না। যারা কিংবদন্তি হয়ে উঠেছে, তারা প্রতিদিন নিজেকে হারিয়ে দিয়েছে অনুশীলনে, ঘামে ভিজিয়েছে প্রতিটি সকাল। ইয়ামালকেও সেই একই পথ পাড়ি দিতে হবে।”

তরুণ এই তারকার জন্য কোচের কণ্ঠে মুগ্ধতা থাকলেও, চোখে রয়েছে বাস্তবতার শীতলতা, “এই বয়সে যা দেখছি, সেটা নিঃসন্দেহে অসাধারণ। কিন্তু আমরা শান্ত থাকতে চাই। সামনে সময় পড়ে আছে। দেখা যাক, সে নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, সে আরও ভালো করবে। এবং সবচেয়ে বড় কথা—সে নিজেও সেটা চায়।”

চলতি মৌসুমে ইয়ামালের গোল সংখ্যা ১৫, সঙ্গে অ্যাসিস্ট ২৪টি। এই পরিসংখ্যান বলছে—যাত্রা শুরুটা যেন এক স্বপ্নের মতো। তবে শনিবার রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে বিশ্রামে রাখা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

৮ ঘণ্টা পর দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফেতর দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ফেরত দেওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, বগুড়া জেলার মহাস্থান গড় বকুল তলা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২২) ও পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গাটিয়ারভিটা এলাকার মোস্তাফিজ হোসেনের ছেলে মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬)। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।

শুক্রবার ৮ ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাবপিলার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার এপাশে থাকা ভারতীয় চা বাগানে টিকটকের ভিডিও বানানোর সময় ওই দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে বিজিবির আহ্বানে তাদের ফেরত দিতে সম্মত হয় বিএসএফ।

ইমন ও সাজেদুলের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে, বিএসএফ ওই দুজনের সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করেনি। দেশে আসার পর তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ