স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বলেছেন, “পুলিশ বাহিনী সৃষ্টির পর থেকে সেবার জন্য তাদের দরজা কখনোই বন্ধ ছিল না। জুলাই ২৪-এ এসে সেটি বন্ধ হয়েছিল। পুলিশ বাহিনী সাময়িকভাবে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় সে সময়টিতে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে এখন সাড়া দিচ্ছে তারা। আমরা চেষ্টা করছি, কিভাবে জনগণকে আরো ভালো সেবা দিতে পারি তা নিশ্চিত করতে।”

শুক্রবার (২ মে) পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালনে জেলা পর্যায়ের সব দপ্তরের প্রধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। 

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাঙামাটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো.

মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসাসহ রাঙামাটির বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।

আরো পড়ুন:

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ২

পুকুরে গোসল করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

বাংলাদেশ সীমান্তে মিনায়মারের বিভিন্ন তৎপরতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসিমুল গণি বলেন, “আমরা এটিকে হুমকি মনে করছি না। বিভিন্ন সময়ে এরকম সমস্যা আসবে, সেগুলা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। আমরা সেভাবেই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করব।”

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৮ ঘণ্টা পর দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফেতর দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ফেরত দেওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, বগুড়া জেলার মহাস্থান গড় বকুল তলা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২২) ও পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গাটিয়ারভিটা এলাকার মোস্তাফিজ হোসেনের ছেলে মাহফুজ ইসলাম ইমন (১৬)। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।

শুক্রবার ৮ ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাবপিলার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার এপাশে থাকা ভারতীয় চা বাগানে টিকটকের ভিডিও বানানোর সময় ওই দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে বিজিবির আহ্বানে তাদের ফেরত দিতে সম্মত হয় বিএসএফ।

ইমন ও সাজেদুলের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে, বিএসএফ ওই দুজনের সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করেনি। দেশে আসার পর তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ