মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার প্রধান ফোলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

গত ২৮ মার্চ ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মানুষ প্রাণ হারান। এরপর দুই এপ্রিল ভূমিকম্প-দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় দেশটির সামরিক সরকার ও বিরোধীরা। তবে এই যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে জান্তা সরকার। জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পরও সেনাবাহিনী কমপক্ষে ২৪৩টি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১৭১টি ছিল বিমান হামলা। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক।

বিবৃতিতে ফোলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সহিংসতা প্রমাণ করে সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে সম্মান করেনি। এটি আরও স্পষ্ট করে দেয়, এখন একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরে যাওয়া কতটা জরুরি’। তিনি আরও বলেন, ‘দেশটিতে এখনও প্রায় দুই কোটি মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর খাদ্য, পানি, আশ্রয় দরকার তবে সবচেয়ে বেশি দরকার শান্তি ও নিরাপত্তা’।

হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তুর্ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যেকোনো বাধা ছাড়াই মানবিক সহায়তা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে দিতে হবে। সেনাবাহিনীর উচিত সব ধরনের হামলা বন্ধ করে মানুষের অধিকার ও প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া’। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে অস্ত্রের পেছনে না ছুটে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে আসতে হবে। এখন দরকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা’।

এদিকে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। কাওকারেইক ও কাইওনডো শহরের মাঝামাঝি এলাকায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে। কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, পিপলস ডিফেন্স ফোর্স ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট দখলে নিয়েছে। থাইল্যান্ডগামী প্রধান মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে তারা। নতুন করে সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ১০ জন প্রতিরোধ যোদ্ধার পাশাপাশি প্রাণ গেছে ২০ জন বেসামরিক মানুষের। খবর এএফপি, ইরাবতীর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

আম কাটছিলেন মা, বঁটির ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

রাজশাহীর তানোরে বেঞ্চ থেকে নামতে গিয়ে বঁটির ওপর পড়ে ২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রউফা রুক্কা ওই গ্রামের রবিউল ইসলাম ও হাওয়া বেগম দম্পতির মেয়ে।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুর মা হাওয়া বেগম সকালে বাড়ির উঠানে বসে বঁটিতে পাকা আম কাটছিলেন। শিশুটি পাশেই একটি বেঞ্চে বসে ছিল। এ সময় শিশুটির মা আরও আম আনতে ঘরের ভেতরে গেলে মায়ের সঙ্গে যাওয়ার জন্য বেঞ্চ থেকে নামতে গিয়ে শিশু রইফা ধারালো বঁটির ওপর পড়ে যায়। এতে বঁটির সামনের অংশ শিশুটির বুকে ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, শিশুর পরিবারের কারও অভিযোগ নেই। এটি একটি দুর্ঘটনা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ