নজরুল পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা
Published: 5th, May 2025 GMT
নজরুল-সঙ্গীত, সাহিত্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে ‘নজরুল-পুরস্কার’ প্রবর্তন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট। এই ধারাবাহিকতায় ‘নজরুল-পুরস্কার নীতিমালা ২০২৪’ অনুযায়ী ‘নজরুল-পুরস্কার ২০২৩ ও ‘নজরুল-পুরস্কার ২০২৪’ প্রদানের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নজরুল পুরস্কার ২০২৩-এর জন্য মনোনীত গুণীজন হলেন-
(১) নজরুল গবেষণায় অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য প্রফেসর ইরশাদ আহমেদ শাহীনকে এ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার নজরুল-গবেষক ও ইংরেজি ভাষা সাহিত্যের অধ্যাপক।
(২) নজরুল-সঙ্গীতে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য সঙ্গীত শিল্পী ও সঙ্গীত প্রশিক্ষক রুমী আজনবীকে মনোনীত করা হয়েছে।
নজরুল পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য মনোনীত গুণীজন হলেন-
(১) নজরুল-গবেষণায় অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য আবদুল হাই শিকদার মনোনীত হয়েছেন। তিনি নজরুল-গবেষক ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক।
(২) নজরুলের কবিতা আবৃত্তিতে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য নাসিম আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি আবৃত্তিকার, আবৃত্তি প্রশিক্ষক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর প্রতিটি বিষয়ে পুরস্কারের জন্য পুরস্কার প্রাপ্তদের পদক, দুই লাখ টাকা ও সম্মাননা স্মারক দেয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট। এ বছর পুরস্কার প্রাপ্তদের রৌপ্য পদক দেওয়া হচ্ছে।
আগামী ২৫ মে জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
চার মাস পর মূল্যস্ফীতি আবার বাড়ল, জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ৮.৫৫%
চার মাস পর মূল্যস্ফীতি আবার বাড়ল। গত জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত জুন মাসে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তখন টানা চার মাস ধরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতি চিত্র প্রকাশ করেছে।
গত জুন মাসে দেশের যে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল, তা বিগত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর পরের মাসেই মূল্যস্ফীতি আবার বাড়ল।
বিবিএসের হিসাব অনুসারে, গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। দুই খাতের আগের মাসের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
গত তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আপনার আয় না বাড়লে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।
তবে মূল্যস্ফীতির হার কমে যাওয়া মানে জিনিসপত্রের দাম কমে যাওয়া নয়। অন্যান্য মাসের তুলনায় ওই নির্দিষ্ট মাসে দাম বৃদ্ধি হয়তো কিছুটা কম হয়েছে-এটাই বোঝায়। উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, ২০২৪ সালের বাজার থেকে পণ্য ও সেবা কিনতে যদি আপনার খরচ হয় ১০০ টাকা। গত জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ হওয়ার মানে হলো, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে অর্থাৎ এক বছর একই পণ্য ও সেবা কিনতে আপনাকে ১০৮ টাকা ৫৫ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। প্রতি ১০০ টাকায় আপনার খরচ বেড়েছে ৮ টাকা ৫৫ পয়সা।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নেয়। এর কিছুটা সুফল মিলছে।
গত দুই-তিন বছর ধরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এনবিআরও তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ক-কর কমিয়ে দেয়। বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানিপ্রবাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়।