Samakal:
2025-09-18@03:00:15 GMT

পড়ন্ত সূর্যের নিভৃতচারিতা

Published: 5th, May 2025 GMT

পড়ন্ত সূর্যের নিভৃতচারিতা

মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
নকুল শর্ম্মা

অবসর বিকেলের গল্প
দিনের ক্লান্তি মুছে 
ছুটে আসে কিছু নিরিবিলি সময়,
অভিমানী হৃদয় লিখে 
ভালোবাসার স্বরলিপি। 
নিস্তব্ধ পাহাড়ে বৈকালিক সুর
মনের ময়ূর কল্পনার 
পেখমে আঁকে প্রণয়ের চিঠি,
হৃদয়ের কম্পনে শুধু 
তোমার অনিন্দ্য বাক্যালাপ।

পড়ন্ত সূর্যের নিভৃতচারিতা
গন্তব্যে ফেরা পাখির ঠোঁটে রাত্রির নীরবতা,
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অব্যক্ত সন্ধ্যার বন্দনা।
অনন্ত সুন্দরের মানসপ্রতিমা
তারার রাজ্যে ধ্রুবতারার আধিপত্য,
সময়ের স্রোতে অনাদিকালের বাসর রচনা।
 

 

দৃশ্যদেবী
সুমন শামসুদ্দিন

তোমার ওই–
রেশম-কোমল চুলকে আমি
অনেক বেশি ঈর্ষা করি।
ইচ্ছে করে–
ওই চুলের মতো
আমিও তোমার কপোল ছুঁয়ে
ঘুমিয়ে পড়ি।
চুলের ছোঁয়ায়–
লাজুক-রাঙা কপোল তোমার
মন ভোলানো লাস্যময়ী।
কপোলের ওই মুগ্ধ-চারু
টোল ছুঁয়েছে আমার মনের
হৃদয়-গহিন প্রণয়-কুটির।
তোমারও ওই– 
আয়ত-আঁখির
ঐন্দ্রজালিক মোহিনী-দৃষ্টে
আটকে আছি শাশ্বত-কাল!
হতাম যদি রেশমি চুড়ি–
তোমার হাতের স্পর্শ নিয়ে
গ্রহাস্তরের অভিসারে দিতাম পাড়ি।
যখন তুমি–
গান কর ওই মোহন সুরে,
আমার চোখে তুমি ছাড়া
জাগতিক সব অলক্ষিত।
বক্ষ-মরুর রুক্ষপথে
অবশেষে পেলাম খুঁজে–
লৌকিকতার আয়ুষ্কালে
তুমি আমার দৃশ্যদেবী।
 

 

বিশৃঙ্খল বেঁচে থাকা 
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

বেঁচে থাকা আজকাল; বিশৃঙ্খলা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হৃদয়ের বেদি ব্যথা, ঘুমের অসুখ, আহারের অরুচি,
বিছানায় ছন্নছাড়া অনিয়মের ছড়াছড়ি—
বয়সের ক্লান্ত লোমে বেড়ে চলেছে ক্রমাগত।
দিন-রাত কবিতার টেবিলে তৈরি হচ্ছে
তোমাকে নিয়ে বাঁচার গল্প!

তবুও স্বপ্নের মধ্যে জেগে থাকার স্মৃতি 
তোমার নেপথ্যে নিশীথের হট্টগোল। 

ভাঙা চুড়ির আওয়াজ, মোলায়েম স্পর্শ,
দুঃখের ভর সমেত একটি শরীর–
আর বল ক’জন নারীই বা নিতে চাইবে?
কে জানে– কবে শেষ হবে এই দুর্ভেদ্য জীবন! 

 

স্বর্গ ফেরত 
ওলি মুন্সী 

বাতাসে তোমার গন্ধ 
রোদ্রে তোমার রূপ 
কালো চুলে মেঘের কারু 
প্রকৃতি হয়েছে চুপ।

জোছনা ভরা চক্ষু তোমার
সদ্য হয়েছে ভোর 
মুগ্ধ করা রমণী তুমি 
স্বর্গ ফেরত হুর।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ