বান্দরবানের থানচিতে গতকাল সোমবার উদ্ধার হওয়া খেয়াং নারীকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। থানচি থানার ওসি আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ এখনো উদ্‌ঘাটন করা যায়নি। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মজুমদার আজ সকালে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেছেন, ওই খেয়াং নারীর মাথায় আঘাত রয়েছে। তাঁকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনা নিয়ে আজ বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। ময়নাতদন্তের আগে শারীরিক নির্যাতনের ব্যাপারে বলা যাচ্ছে না। এ সময় জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শহিদুল্লাহ কাওছার এ ঘটনার নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কারা কী কারণে খেয়াং নারীকে হত্যা করেছে, এখনো জানা যায়নি। তদন্তের পর জানা যাবে। এ নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম ও জিনিয়া চাকমা।

বান্দরবানের থানচিতে খেয়াং নারীকে হত্যার ঘটনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে ভুক্তভোগী রাষ্ট্র: উপদেষ্টা ফরিদা 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম ভুক্তভোগী রাষ্ট্র। বিশ্বের ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণ কার্বন নির্গত করলেও, বাংলাদেশকে এর ভয়াবহ প্রভাব বহন করতে হচ্ছে। অথচ বৈশ্বিক নিঃসরণে আমাদের অবদান মাত্র ০.৪ শতাংশ।’ 

মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘দুধ ও গরু পালন কার্যক্রম-সংক্রান্ত তথ্য এবং আইপিসিসির টায়ার-২ ভিত্তিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন পরিমাপ-লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) হস্তক্ষেপের প্রভাব’ শীর্ষক একটি যাচাইকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো বহুবার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি। সে কারণে অন্যদের দিকে না তাকিয়ে আমাদের নিজেদের সক্ষমতার ওপর ভর করে এগিয়ে যেতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নির্গমন ইস্যুতে আগামীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করবে। বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনে প্রাণিসম্পদ খাতের কিছুটা ভূমিকা থাকলেও, বাংলাদেশে এর দায় তুলনামূলকভাবে নগণ্য।’

প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাংস অপরিহার্য। এর সঙ্গে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কীভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে আমাদের প্রযুক্তিগত ও গবেষণাভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, এফএও’র বাংলাদেশের প্রতিনিধি জিয়াওচুন শি, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ ও টাস্ক টিম লিডার আমাদু বা, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ