বন্দর থানার নাসিক ২৪ ওয়ার্ড নবীগঞ্জ উত্তর পাড়া এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার প্রবাসী ছেলে লিটনের স্ত্রী ১০ বছরের সন্তান রেখে একই এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক আরমানের সাথে পরকীয়ার টানে ঘর ছেড়েছে।

জানাগেছে, নবীগঞ্জ উত্তর পাড়া এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া সুখের আশায় গত পাচঁ বছর আগে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। সংসারে আছে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। গত কয়েক বছর আগে লিটন প্রবাস থাকা অবস্থায় জানতে পারেন পাশের বাড়ির ভাগিনা আরমানের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন তার এক সন্তানের জননী স্মৃতি (২৮)। 

এর পর থেকেই স্বামীকে বিদেশ রেখেই বিভিন্ন অজুহাতে হোটেল/রিসোর্টে গিয়ে একাধিকবার রাত্রি যাপন করছেন জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এবং একাধিকবার ধরা পরলে বিচার শালিশ ও করেন এলাকাবাসী। 

এব্যাপারে ভোগক্তভোগী প্রবাসী লিটন জানান আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার পরিচিত এলাকার ভাগিনা সিএনজি চালক আরমান আমার স্ত্রীকে মামী বলে সম্মান করতো, এর ভিতরে যে পশুত্ব ঢুকে যাবে কে জানে, এলাকাবাসী আমাকে জানায় সিএনজি চালক আরমান দীর্ঘদিন যাবত আমার স্ত্রীকে ভোগ করে আসছে।  

আমার দশ বছরের সন্তান তাদের সকল অনৈতিক কার্যকলাপ দেখেছে তাকে গলাটিপে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আরমান, মায়ের হাত পায়ে ধরে রেহাই পায় আমার সন্তান। লিটন আরো জানান আমার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার এলাকার নামকরা দেহ ব্যবসায়ী "জেসিকার" শেল্টারে পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছে।

একপর্যায়ে দশ বছরের সন্তান রেখে আমার ৫ বছরের বিদেশের সমস্ত আয়, ইনকাম নিয়ে গত একমাস আগে পরকীয়া প্রেমিক সিএনজি চালক আরমানের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে রেখেছি। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার মুদি দোকানদার জানান লিটনের বউ স্মৃতি আক্তার শুধু সিএনজি চালক আরমানের সাথেই অনৈতিক সম্পর্ক নয়, এলাকার একাধিক ছেলের সাথে তার গোপনীয় সম্পর্ক আছে। 

আরমান ছিল তার সম্পর্কের ভাগিনা আর সেই ভাগিনার সাথেই ছিল তার দীর্ঘ দিনের মেলামেশা এগুলো এলাকাবাসী জানলে একাধিকবার ক্ষমাও চায় তারা। অবশেষে মামীকে নিয়ে পালিয়ে যায় সিএনজি চালক আরমান। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: পরক য় ন র য়ণগঞ জ চ লক আরম ন র ক আরম ন প রব স এল ক র আম র স এক ধ ক বছর র স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে : সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত। সে গত ১৫ বছরে বিডিআরসহ বাংলাদেশের অসহ্য মানুষকে খুন গুম ও হত্যা করেছে।

সর্বশেষ গত পাঁচই আগস্ট জুলাই বিপ্লবে ১৪ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে। 

আর এই ছাত্র জনতার বিপ্লবের নারায়ণগঞ্জে ৫৫ জনকে হত্যা হয়েছে। এ সকল হত্যাকান্ড গুলো শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছিল।

তিনি এই সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্তা করার জন্য বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন ও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্যই এই হত্যাকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছিল।

‎সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির আয়োজিত আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও মানবাধিকার অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবির বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

‎তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজকে পালিয়ে গিয়ে পাশের দেশে বসে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগ ও দেশের গণতন্ত্রকে নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত শুরু করেছে।

সেই চক্রান্ত বিষয় শেখ হাসিনা সবকিছুই জানে অথচ তিনি ভারত বসে এই বিচারকে বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তার সকল কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে। 

আপনারা দেখেছেন কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কিন্তু তার কোন কর্মসূচি পালন করে নাই। এতে করে আমরা বলতে যে বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে।

আমরা সবাই ধৈর্য ধারণ করে সরকারকে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার সহযোগিতা করতে হবে। আর আমাদের সবাইকে সকল ধরনের নাশকতা ও অপ্রপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।

‎এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ,সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ