নোয়াখালী জেলা কারাগারের প্রাচীর টপকে মো. তানিম (১৯) নামে এক হাজতি পালানোর চেষ্টা করেছেন। বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি  কারাগারের ১৮ ফুট উঁচু প্রাচীরটিতে ওঠেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে আটক করে কারাগারে নেয় কারারক্ষীরা।

হাজতির পালানোর চেষ্টা করার ঘটনাটির ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।  

পালানোর চেষ্টা করা তানিম নোয়াখালী পৌরসভার মহিলা কলেজ সংলগ্ন মনপুর এলাকার মজিব শেখের ছেলে।  

আরো পড়ুন:

মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত

হবিগঞ্জের শ্রমিক লীগ নেতা কারাগারে

কারাগার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ মে) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তানিমকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় আদালত। আজ বুধবার দুপুরের দিকে জেল সুপারের বাসার কর্নার দিয়ে তানিম কারাগারের ১৮ ফুট উঁচু প্রাচীরের ওপরে উঠে যান। বিষয়টি বুঝতে পেরে কারারক্ষীরা প্রাচীরের দুইদিক অবস্থান নেন। তারা তানিমকে প্রাচীরের ওপর থেকে নামিয়ে এনে আটক করে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যান।  

নোয়াখালী জেলা কারাগারের জেল সুপার আব্দুল বারেক বলেন, ‍“কারাগারের প্রাচীরের ওপরে উঠেছিলেন এক হাজতি এ ঘটনাটি সত্য। ওই হাজতি মানসিকভাবে অসুস্থ। তিনি পালাতে পারেননি। তাকে কারারক্ষীরা আটক করে পুনরায় কারাগারে নিয়ে আসে।”    

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গানে গানে প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদে নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ। বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদসহ বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় ভাস্কর্য চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গান গেয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবি জানান।

সমাবেশে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অনিমা রায় সরকারের সিদ্ধান্তকে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘সংগীত আমাদের প্রাণের খোরাক, সংগীত দিয়ে আমরা আমাদের হৃদয় ভরি। কোমলমতি শিশুর মন থেকে সুর কেড়ে নেওয়ার পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে। এটা হচ্ছে শুরু, এরপর মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সংগীত বন্ধ করার দাবি আসবে।’

অনিমা রায় বলেন, শিক্ষক পদ বাদ দেওয়ার মাধ্যমে সংগীত নিয়ে যারা পড়াশোনা করেছে, তাদের চাকরির রাস্তা বন্ধ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। ফলে চাকরি না থাকলে কেউ ভবিষ্যতে সংগীত পড়তে আগ্রহী হবে না। এটি একটি সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত। তাই প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের পদ পুনর্বহাল করতে হবে।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা–কর্মীরা। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ।

এদিকে সংগীত বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিকল্প প্রক্রিয়া ঘোষণা না করে এসব পদ সরাসরি স্থগিতের সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্তিমূলক, সৃজনশীল ও মানবিক যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি, তার সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক পদক্ষেপে আমরা পাশে আছি। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক সহকারী শিক্ষক–সংক্রান্ত পদ বাতিলের বিরোধিতা করছি।’

আরও পড়ুনসংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাদ দেওয়ার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিল অন্তর্বর্তী সরকার০৪ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ