বিলুপ্ত ঘোষণার ৩ দিন পর খুলনা মহানগর মহিলা দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি
Published: 8th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল খুলনা মহানগরের ১২ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা নার্গিস আলীকে আহ্বায়ক এবং হালিমা আক্তার খানমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন মোসাম্মাৎ আনজিরা খাতুন, শাহানা সরোয়ার, নাসরিন শ্রাবণী, হাসনা হেনা, নিঘাত সীমা, কাওসারী জাহান মঞ্জু, মিসেস মনি বেগম, জাহানারা পারভীন, মোসাম্মাৎ সালমা বেগম ও শাম্মী চৌধুরী মলি।
আহ্বায়ক কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে ৩ মে খুলনা মহানগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। মহানগর বিএনপির নেতারা জানান, মহিলা দলের এক নেত্রীর ওপর হামলার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২ মে বিকেলে নগরের কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দা আরিফা আশরাফিকে (চুমকি) মারধর করেন প্রতিপক্ষের নারী কর্মীরা। চুমকির অভিযোগ, হামলাকারী ব্যক্তিরা নগর মহিলা দলের সভানেত্রী আজিজা খানমের (এলিজা) অনুসারী। এই ঘটনায় তিনি খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। তবে আজিজা খানম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ মে কেন্দ্রীয় কমিটি খুলনা মহানগর মহিলা দলের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ৪ মে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে খুলনা মহানগর মহিলা দলের তিনজন নেত্রীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে মহানগর বিএনপি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত। সে গত ১৫ বছরে বিডিআরসহ বাংলাদেশের অসহ্য মানুষকে খুন গুম ও হত্যা করেছে।
সর্বশেষ গত পাঁচই আগস্ট জুলাই বিপ্লবে ১৪ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে।
আর এই ছাত্র জনতার বিপ্লবের নারায়ণগঞ্জে ৫৫ জনকে হত্যা হয়েছে। এ সকল হত্যাকান্ড গুলো শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছিল।
তিনি এই সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্তা করার জন্য বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন ও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্যই এই হত্যাকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছিল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির আয়োজিত আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও মানবাধিকার অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবির বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজকে পালিয়ে গিয়ে পাশের দেশে বসে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগ ও দেশের গণতন্ত্রকে নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত শুরু করেছে।
সেই চক্রান্ত বিষয় শেখ হাসিনা সবকিছুই জানে অথচ তিনি ভারত বসে এই বিচারকে বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তার সকল কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আপনারা দেখেছেন কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কিন্তু তার কোন কর্মসূচি পালন করে নাই। এতে করে আমরা বলতে যে বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে।
আমরা সবাই ধৈর্য ধারণ করে সরকারকে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার সহযোগিতা করতে হবে। আর আমাদের সবাইকে সকল ধরনের নাশকতা ও অপ্রপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ,সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।