শুভর ‘নীলচক্র’ ছবির প্রথম গান, শাফায়াতের সঙ্গে দেখা গেল বালামকেও
Published: 9th, May 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল আযহাতে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা আরিফিন শুভর ‘নীলচক্র’ সিনেমায় দেখা যাবে ব্যাপার জালালী শাফায়াতকে। ‘এই অন্ধকারের শহরে’ শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি সিনেমাটিতে অভিনয় করেতে দেখা যাবে দেশের জনপ্রিয় এই ব্যাপারকে।
এরই মধ্যে অন্তর্জালে মুক্তি পেয়েছে ‘এই অন্ধকারের শহরে’। গানটির কথা লিখেছেন গায়ক শাফায়াত নিজেই। আর সংগীত করেছেন আরেক জনপ্রিয় সংগীত তারকা বালাম। প্রকাশিত গানটির দৃশ্যে দেখা গেছে, একটি টিনেজ ডিজে পার্টিতে গানটি গাইছেন জালালী শাফায়াত, সেখানে উপস্থিত আছেন বালাম নিজেও।
সিনেমাটি পরিচালক মিঠু খান বলছেন, ‘এই গানের মাধ্যমে জালালী শাফায়াত প্রথমবার কোন সিনেমায় কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন। গানটি সিনেমার গল্পের সঙ্গে খুবই সম্পর্কিত। গল্পের সঙ্গে মিল রেখে শাফায়াত গানের কথাও লিখেছেন সেখানে। আশা করি দর্শক ঈদে আমাদের সমসাময়িক গল্প দেখতে পারে ‘নীলচক্র’ সিনেমায়।’
ব্যাপার জালালী শাফায়াত বলছেন, ‘ব্যাপার চরিত্রে এবার সিনেমাতে অভিনয় করেছি। দর্শক আমাকে সেভাবেই সিনেমাতে পাবেন। আশা করছি, ঈদে ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি দর্শক উপভোগ করবেন। কারণ সিনেমার গল্পটা এখনকার যুব সমাজের; গানে গানে আমি সেই কথাই বলার চেষ্টা করেছি।’
‘নীলচক্র’ সিনেমা মাধ্যমে প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করলেন আরিফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তী। প্রযুক্তির কল্যাণে বিভিন্ন মাধ্যমে নেশায় বুঁদ হয়ে আছে নতুন প্রজন্ম। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নানা ফাঁদ তৈরি করে অনেকেই নিজেদের কার্যসিদ্ধি করে নিচ্ছেন। অনেকেই পা দিচ্ছেন সেই ফাঁদে। প্রযুক্তির সেই ফাঁদের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘নীলচক্র’।
পরিচালক মিঠু খানের সঙ্গে যৌথভাবে ‘নীলচক্র’ ছবির চিত্রনাট্য করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও অঞ্জন সরকার। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান প্রমুখ।
ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিত ও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে আমেরিকান ফিল্ম মার্কেটে বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়ে এবার আসছে ঈদুল আযহাতে দেশে মুক্তি পেতে চলেছে ‘নীলচক্র’।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ফ ন শ ভ ন লচক র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো ঢাবিতে বৃক্ষশুমারি শুরু
‘বিদেশি নয়, দেশীয় বৃক্ষে ঢাবি সাজাই’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৃক্ষশুমারি শুরু হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান মল চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বৃক্ষশুমারি উদ্বোধন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদ এবং গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরি কালচার সেন্টার এ বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরো পড়ুন:
পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা বাস্তবায়নে বিক্ষোভের ডাক
আমাদের মায়া-মমতা কমে যাচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।
এ সময় আরবরিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, পরিবেশ সংসদের নেতৃবৃন্দ, গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃক্ষশুমারি কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ঢাবিতে নানা প্রজাতির বৃক্ষ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে এই বৃক্ষশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণে উৎসাহ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধিতেও এই শুমারি অবদান রাখবে। এর মাধ্যমে আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারব।”
ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রেও এই শুমারি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ১০ সদস্যের একটি দল বৃক্ষশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আইকনিক ল্যান্ডস্কেপে পরিণত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুল ও বনজ বৃক্ষের সংখ্যা ও ঘনত্ব নির্ণয়, বৃক্ষের স্বাস্থ্য, দেশী গাছ ও বিদেশি গাছের সংখ্যা নির্ণয়, প্রাচীন গাছের সংখ্যা নির্ণয়, বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় গাছের তালিকা তৈরি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকারক গাছের সংখ্যা নির্ণয়ে কাজ করবে তারা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী