কাশ্মীরের পেহেলগামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের এই সংঘাতের খবর গুরুত্ব পাচ্ছে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে। পরিস্থিতি এখন কোন দিকে মোড় নেয়, সে বিষয়ে নজর গোটা বিশ্বের।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য একে অপরকে দুষছে ভারত-পাকিস্তান। ভারত বলছে, পাকিস্তান তাদের সীমান্তে ড্রোন ও অন্যান্য গোলাবারুদ ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার রাতভর হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত। বুধবার দ্বন্দ্ব বাড়ার পর থেকে বারবার একে অপরকে আক্রমণের জন্য অভিযুক্ত করছে দেশ দুটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সও বলছে, সংঘাত বাড়তে থাকায় একে অপরকে দুষছে ভারত-পাকিস্তান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ‘উত্তেজনা চরমে ওঠায় ভারতীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেশ কয়েক শহরের লাখ লাখ ভারতীয় বৃহস্পতিবার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ‘২৫ জন ভারতীয় সেনা নিহতের দাবি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিছু পাকিস্তানি কর্মকর্তার দাবি, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব কন্ট্রোলে গুলি বিনিময়ের সময় তাদের বাহিনী ডজনখানেক ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, বুধবার থেকে প্রায় ২৫ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে তাঁর ধারণা।

এদিকে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতকে ‘কাশ্মীর সংকট’ বলে উল্লেখ করছে। ‘ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের নিজেদের মধ্যকার উত্তেজনা নামিয়ে আনা উচিত। তাদের মধ্যে সংঘাত মোটেও আমাদের দেখার বিষয় নয়।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের তৈরি পাকিস্তানের রাডার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারত।

এদিকে পাকিস্তান ও ভারতের সংবাদমাধ্যম সংঘাতের বিষয়ে পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন করার অভিযোগ আছে। এ কারণে দেশ দুটির সংবাদমাধ্যমগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

একে অপরকে অভিনন্দন জানালেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় শনিবার দিবাগত রাতে হামলা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উভয় নেতাই এই অভিযানকে ঐতিহাসিক এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। খবর বিবিসির

আজ রোববার ভোরে দেওয়া এক ভিডিও বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘অভিনন্দন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের মারাত্মক ও ন্যায়সংগত শক্তি দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার আপনার সাহসী সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে।’ 

নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি প্রায়শই বলি: শক্তির মাধ্যমে শান্তি। প্রথমে শক্তি অর্জন, এরপর শান্তি আসে। এবং আজ রাতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং যুক্তরাষ্ট্র অনেক শক্তি দিয়ে কাজ করেছে।’

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি টিম হিসেবে কাজ করেছি; যা সম্ভবত এর আগে আর কোনো টিম এমনভাবে কাজ করেনি। আমরা ইসরায়েলের প্রতি এই ভয়ানক হুমকি দূর করতে অনেক দূর এগিয়েছি।’

ট্রাম্প ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে শনিবার দিবাগত ‘রাতে ‘অসাধারণ মেশিনগুলো’ পরিচালনা করা ‘মহান আমেরিকান দেশপ্রেমিকদের এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সামরিক বাহিনীকে’ এমন একটি অভিযানের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি এমন অভিযান বিশ্ব বহু দশকে দেখেনি।

এই পরস্পর অভিনন্দন বার্তা উভয় দেশের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে গভীর সমন্বয় এবং ঐকমত্যের ইঙ্গিত দেয়। এই হামলার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কী পরিবর্তন আনবে, তা এখন দেখার বিষয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মীদের ছোট ছোট দলের মধ্যে তর্কে উৎসাহ দিতেন স্টিভ জবস, কেন
  • একে অপরকে অভিনন্দন জানালেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু