বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ইফতেখারুল ইসলাম বলেছেন, বইয়ের ছোঁয়া পড়ুয়াদের পরিবর্তন করে দেয়। যাঁরা বই পড়ে আর যাঁরা পড়ে না, তাঁদের পার্থক্য খুব স্পষ্টভাবেই বোঝা যায়। একটি ভালো বইয়ের সুবাস পাঠকের হৃদয়ে বহু বছর থেকে যায়।

আজ শনিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ইফতেখারুল ইসলাম।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরের স্কুল পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির সহযোগিতায় রয়েছে গ্রামীণফোন। অনুষ্ঠানের আয়োজক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।

গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার আটটি পর্বে ঢাকা মহানগরের পাঁচ হাজারের বেশি স্কুলপড়ুয়া ছাত্র–ছাত্রী পুরস্কার গ্রহণ করে।

এ সময় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠার সময়কার স্মৃতি হাতড়ে ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৭৮ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। মাত্র ৩৫ টাকায় পল্লিকবি কবি জসীমউদ্‌দীনের “নক্সীকাঁথার মাঠ” কাব্যোপন্যাসের ১০টি কপি কিনে নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল।’

ইফতেখারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘“মানুষ তাঁর স্বপ্নের সমান বড়”, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এ উক্তি প্রচারের পাশাপাশি বাস্তবায়ন করেছেন। আজ তাঁর বইপড়া কর্মসূচি দেশের কয়েক কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করেছে।’

ভালো মানুষ হওয়ার জন্য বইপড়া গুরুত্বপূর্ণ—উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয় করা। আমি সেখানে গিয়েছি। তোমরাও স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নিশাত মজুমদার বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের জীবনের চড়াই-উতরাই আছে। সেটা সবাইকে অতিক্রম করতে হয়। তোমাদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। আর ভালো মানুষ হওয়ার পূর্বশর্ত বেশি বেশি বই পড়া।’

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরের স্কুল পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের অতিথি ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের কয়েকজন। ১০ মে, বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইফত খ র ল ইসল ম প রস ক র অন ষ ঠ ন আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ভবিষৎ এখনো অনিশ্চয়তা, শঙ্কায় ভরা: সন্তু লারমা

আজকের এ বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ভবিষৎ এখনো অনিশ্চয়তা ও শঙ্কায় ভরা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।

সন্তু লারমা বলেছেন, ‘দেশের পাহাড় ও সমতলের অধিকাংশ জনগণ এখনো অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে দিন যাপন করছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর চলমান সংস্কার কার্যক্রমে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কার্যকর কোনো সংগঠন বা নেতৃত্বের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি অন্তর্বর্তী সরকার।’

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন। আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।

অসুস্থতার কারণে সন্তু লারমা সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আদিবাসী ফোরামের নির্বাহী সদস্য পল্লব চাকমা।

লিখিত বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া দেশে তাঁরা ক্রমশ ভূমিহীন ও দেশান্তরি হচ্ছেন। পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ২৮ বছরেও কার্যকর করছে না এ রাষ্ট্র। ফলে পাহাড়ে বিদ্যমান সমস্যার নানা রূপ প্রতিফলিত হচ্ছে।

সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের পরিস্থিতি আরও বেশি নাজুক উল্লেখ করে সন্তু লারমা বলেন, ‘ভূমি থেকে উচ্ছেদ, নারী নিপীড়ন, বৈষম্য, বিচারহীনতা—এসবের মাধ্যমে প্রান্তিক থেকে আরও প্রান্তিক হচ্ছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা।’

এমন বাস্তবতায় প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার বাংলাদেশের আপামর নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক নেতাসহ সবাইকে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম জোরদারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সন্তু লারমা।

দেশে বসবাসকারী ৪০ লাখের বেশি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের টিকে থাকার লড়াইকে শাণিত এবং তাঁদের ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করতে তরুণদের অধিকতর ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান সন্তু লারমা।

সন্তু লারমা বলেন, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের লড়াই ও সংগ্রাম বেগবান করা এবং গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রগতিশীল আদর্শের কোনো বিকল্প নেই।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে সন্তু লারমা বলেন, এ দিবস প্রতিবছরের মতো তাঁদের তরুণ সমাজ ও জনগণকে নবতর সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল বের করেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিক্ষকদের কষ্টের কথা বলার জায়গা কম, শোনার লোকও নেই
  • যুব দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন ২০ তরুণ
  • শিক্ষকেরা সম্মানিত হলেই সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে
  • মাহবুব আলী খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল
  • এনসিপির নেতা-কর্মীরা ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ শিকার হচ্ছেন: তরিকুল ইসলাম
  • ‘দেশের কোনো সরকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকারের স্বীকৃতি দেয়নি’
  • দেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ভবিষৎ এখনো অনিশ্চয়তা, শঙ্কায় ভরা: সন্তু লারমা