১৬ বছর পর আটোয়ারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন, সভাপতি বজলুর, সম্পাদক নজরুল
Published: 11th, May 2025 GMT
১৬ বছর পর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে এ জেড এম বজলুর রহমান (জাহেদ) ও সাধারণ সম্পাদক পদে নজরুল ইসলাম (দুলাল) নির্বাচিত হয়েছেন। বজলুর রহমান এর আগে আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও নজরুল ইসলাম সদস্য ছিলেন।
গতকাল শনিবার রাতে আটোয়ারী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটাভুটির মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বদিউজ্জামান (মানিক) ও বাবুল ইসলাম। চার সদস্যের এই কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন করে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদের বিপরীতে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নের ৩৪৪ জন কাউন্সিলর ও ডেলিগেট ভোট দেন। বলরামপুর ইউনিয়ন কমিটি স্থগিত থাকায় সেখানকার কাউন্সিলররা ভোট দিতে পারেননি।
এর আগে দুপুরে কলেজ মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমবেত হন। পরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমির। এ ছাড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম উদ্বোধক এবং রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত শেষ সম্মেলনে আবদুর রহমান সভাপতি এবং ফখরুল আলম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে বজলুর রহমান আহ্বায়ক ও কুদরত-ই-খুদা সদস্যসচিব ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র রহম ন ব এনপ র ল ইসল ম সদস য গঠন ক উপজ ল বজল র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত। সে গত ১৫ বছরে বিডিআরসহ বাংলাদেশের অসহ্য মানুষকে খুন গুম ও হত্যা করেছে।
সর্বশেষ গত পাঁচই আগস্ট জুলাই বিপ্লবে ১৪ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে।
আর এই ছাত্র জনতার বিপ্লবের নারায়ণগঞ্জে ৫৫ জনকে হত্যা হয়েছে। এ সকল হত্যাকান্ড গুলো শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছিল।
তিনি এই সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্তা করার জন্য বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন ও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্যই এই হত্যাকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছিল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির আয়োজিত আওয়ামী লীগের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও মানবাধিকার অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবির বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজকে পালিয়ে গিয়ে পাশের দেশে বসে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং বিচার বিভাগ ও দেশের গণতন্ত্রকে নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত শুরু করেছে।
সেই চক্রান্ত বিষয় শেখ হাসিনা সবকিছুই জানে অথচ তিনি ভারত বসে এই বিচারকে বাঁধাগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তার সকল কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আপনারা দেখেছেন কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কিন্তু তার কোন কর্মসূচি পালন করে নাই। এতে করে আমরা বলতে যে বাংলাদেশের ৯৯% জনগণ শেখ হাসিনার বিচার ও সাজার পক্ষে।
আমরা সবাই ধৈর্য ধারণ করে সরকারকে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার সহযোগিতা করতে হবে। আর আমাদের সবাইকে সকল ধরনের নাশকতা ও অপ্রপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন,বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ,সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।